‘বাপি (সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়) চলে যাওয়ার পর থেকেই মা বেঁচে থাকার ইচ্ছা হারিয়েছিল। সমানে বলে যেত আমাদের, এবার আমায় যেতে দে।’ মায়ের মুত্যুর খবর দিতে গিয়ে এমন মন্তব্য করেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মেয়ে পৌলমী বসু। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর সাড়ে চার মাস পর চলে গেলেন প্রয়াত অভিনেতার স্ত্রী দীপা চট্টোপাধ্যায়। আজ রোববার ভোরে কলকাতা শহরের সল্টলেকের এক হাসপাতালে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। রেখে গেলেন ২ সন্তান, সৌগত চট্টোপাধ্যায় ও পৌলমী বসুকে। কলকাতা থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের দীপা চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন সৌমিত্রকন্যা পৌলমী বসু।
জানা গেছে, বেশ কিছু দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন দীপা চট্টোপাধ্যায়, হাসপাতালে চিকিত্সা চলছিল। ৪৫ বছর ধরে ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন দীপা ভট্টাচার্য। রক্তজনিত বেশ কিছু সমস্যাও ছিল, প্রয়োজন হয় নিয়মিত চিকিত্সার। কিডনির সমস্যার কারণে সম্প্রতি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। অবশেষে সব লড়াই শেষ করে পাড়ি জমান না–ফেরার দেশে।
১৯৬০ সালের ১৮ এপ্রিল বিয়ে হয়েছিল সৌমিত্র-দীপার। বলা হয়ে থাকে, সৌমিত্রের পারিবারিক জীবনে ঠিক পর্বতের মতো মহীয়ান ছিলেন দীপা চট্টোপাধ্যায়। নানাভাবে সমর্থন জুগিয়েছেন সৌমিত্রের ক্যারিয়ারে। সৌমিত্রের সাফল্যের অন্যতম কান্ডারি তিনি, হাতে গোনা ছবিতে অভিনয় করেছেন দীপা চট্টোপাধ্যায়ও। যার মধ্যে উল্লেখ্য, ‘বিলম্বিতলয়’, ‘গাছ’ ও ‘দুর্গা’। পর্দার ‘অপু’র সঙ্গে ছিল তাঁর সাজানো সংসার।
দীর্ঘ ছয় দশকের দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনে আগে চলে গেলেন সৌমিত্র, কয়েক মাস পর দীপা চট্টোপাধ্যায়ও তাঁর পথ ধরলেন।