‘আমি মরলে আমাকে নিয়ে যেন কোনো ইন্ডাস্ট্রি আর মিডিয়ার সার্কাস না হয়।’ কথাটি ওপার বাংলার অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রের। উচিত কথা বলায় শ্রীলেখা মিত্রের যেন জুড়ি নেই। যেকোনো অন্যায়–অনিয়মে কিছু বলতে রাখেন না কোনো রাখঢাক। আজ বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুকে এমন কথা বলারও নিশ্চয় কোনো কারণ আছে।
কী সেই কারণ, জানতে চাইলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ‘এক, বেঁচে থাকতে কেউ খোঁজ নেবেন না। মৃত্যুর পর সবাই জড়ো হবেন। এটা আমি চাই না। দুই, বেঁচে থাকতে আমার সব খারাপ, আর মৃত্যুর পরে সব ভালো—এটাও কাম্য নয়।’
শ্রীলেখা মিত্রের চাওয়া, তিনি সবার আড়ালেই পৃথিবীর ছেড়ে যাবেন। তিনি শান্তিতে, নীরবেই চলে যাবেন। তিনি জানালেন, এখনো তাঁর বাড়িতে ইন্ডাস্ট্রির লোকজনের ভিড় নেই। তখনো যেন না থাকে। শ্রীলেখা মিত্র তাঁর এই ইচ্ছের কথা মেয়ে আর ঘনিষ্ঠজনদেরও জানিয়ে যাবেন বলে জানালেন। শুধু তা–ই নয়, এসব কথা তিনি লিখেও যাবেন। তাঁর চাওয়া, মৃত্যুর পর তাঁর শেষযাত্রায় শুধু অংশ নেবেন তাঁর আত্মীয় ও কাছের মানুষ।
জানা গেছে, অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু নাড়া দিয়েছে শ্রীলেখা মিত্রকে। ভারতের বাংলা চলচ্চিত্রের এই অভিনেতার মৃত্যুর পর শ্রীলেখা মিত্রের বাড়িতে সংবাদমাধ্যম ও বিনোদন অঙ্গনের লোকজনের ভিড়ে অস্বস্তিতে পড়েন। তাই এদিন বিকেলে ফেসবুকে পোস্ট করেন, ‘আমি মরলে আমায় নিয়ে যেন কোনো ইন্ডাস্ট্রি আর মিডিয়ার সার্কাস না হয়।’
বৃহস্পতিবার কলকাতায় নিজের বাড়িতে মারা যান পশ্চিমবঙ্গের অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর। কয়েক দিন ধরে সামান্য অসুস্থ ছিলেন, ডায়রিয়ায় ভুগছিলেন। গতকাল বুধবার এক রিয়েলিটি শোতে তিনি অংশও নিয়েছিলেন। সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এ অভিনেতার প্রয়াণে শোকের ছায়া পরিবার ও টলিপাড়ায়।
ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, দু-তিন দিন ধরে পেটের সমস্যায় ভুগছিলেন অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। গতকাল রাতে একটি চ্যানেলের শুটিংয়ে ছিলেন। সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়েন।
বেশ কয়েকবার বমি করেন তিনি। সেই সময় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তির চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাতে রাজি হননি তিনি। অভিনেতা জানিয়েছিলেন, বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা করাতে চান। রাতে বাড়িতেই শুরু হয় চিকিৎসা। স্যালাইনও দেওয়া হয়। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হলো না। ভোরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ছোট ও বড় পর্দার সুপরিচিত অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়।