মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে চতুর্থ মডেল-অভিনেত্রীর মৃত্যু হলো। গতকাল রোববার রাতে দক্ষিণ কলকাতার কসবা এলাকা থেকে পাখার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় সরস্বতী দাসের (১৯) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ পাঠানো হয়েছে কলকাতার ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। পুলিশ জানিয়েছে, সরস্বতীর লাশের পাশে কোনো সুইসাইড নোট মেলেনি। সরস্বতী ছিলেন উঠতি মডেল। অভিনয়জগতে নাম লেখানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
সরস্বতীর বাবা নেই। সরস্বতীর মা ও খালা আয়ার কাজ করেন। শনিবার রাতে মা ও খালা কাজে বাইরে যান। বাড়িতে ফিরে তাঁরা সরস্বতীকে ঘরের পাখার সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।
একের পর এক উঠতি মডেল-অভিনেত্রীর লাশ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে নানা প্রশ্ন। এসব মৃত্যুর পেছনে প্রেম না আর্থিক সমস্যার কারণে মানসিক বিপর্যয়, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এর আগে দক্ষিণ কলকাতার গরফায় ১৫ মে অভিনেত্রী ও মডেল পল্লবী দের লাশ উদ্ধার হয়।
এরপর ২৫ মে উত্তর কলকাতার নাগের বাজারে পল্লবীর মতো ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় আরেক মডেল ও অভিনেত্রী বিদিশার লাশ। ২৭ মে একই অবস্থায় পাওয়া যায় মডেল মঞ্জুষা নিয়োগীর লাশ। মঞ্জুষা দক্ষিণ কলকাতার পাটুলির বাসিন্দা ছিলেন। চারজনের মধ্যে দুজনের ময়নাতদন্ত পাওয়ার পর আত্মহত্যা বলে নিশ্চিত করেছে কলকাতা পুলিশ।