জলের গানের দলনেতা রাহুল আনন্দের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গত সোমবার তাঁর বাড়িতে থাকা সহস্রাধিক যন্ত্র ভাঙচুর করা হয়েছে। এটি শুধু রাহুল আনন্দের বসতবাড়ি ছিল না, ব্যান্ডের অনেক গান লেখা থেকে সুর হয়েছে এ বাড়িতে। গানের অফিশিয়াল স্টুডিও হিসেবেও ব্যবহৃত হতো বাড়িটি।
দলের সবার দলগত সংগীতচর্চা থেকে শুরু করে সব স্টুডিও ওয়ার্ক—রেকর্ডিং, মিক্সিং, এডিটিং এখানেই হতো। এ ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই প্রতিবাদ জানাচ্ছেন সংগীতশিল্পী থেকে সাধারণ মানুষ। এবার এক ফেসবুক পোস্টে ঘটনার প্রতিবাদ জানালেন সংগীতশিল্পী অর্ণব।
গতকাল রাতে এক ফেসবুক পোস্টে অর্ণব লিখেছেন, ‘এটা বড় একটা ক্ষতি, মেনেই নিতে পারছি না! মারাত্মক ভুল। আমরা সত্যিই দুঃখিত। রাহুল আপনার সঙ্গে আছি।’
পোস্টের শেষে অর্ণব আরও লিখেছেন, ‘তারা বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে, যেখানে রাহুল্যের দুর্দান্ত সব বাদ্যযন্ত্র ছিল।’
অর্ণবের পোস্টের নিচে তাঁর অনেক ভক্ত–অনুসারী দুঃখ প্রকাশ করে এ ঘটনার বিচার চেয়েছেন।
বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে সব সময় সক্রিয় দেখা গেছে রাহুল ও তাঁর দলকে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সংহতি জানিয়েও নিজের দলের সদস্যদের নিয়ে রাজধানীর রবীন্দ্রসরোবরে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। এর পরও তছনছ করা হয়েছে তাঁর বাড়ি।
দলনেতা ও ভোকাল রাহুল আনন্দের বাড়িতে হামলার বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে জলের গান। বিবৃতির সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে একটি গান। এই বাড়িতে রেকর্ড করা শেষ গান।
অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে ব্যান্ডটি লিখেছে, ‘জলের গানের ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের এই বাড়িটি শুধু রাহুল আনন্দের বসতবাড়ি ছিল না; ছিল পুরো দলটির স্বপ্নধাম, আনন্দপুর। যেখানে তৈরি হয়েছে কত গান, কত সুর, আর দাদার ভাবনাপ্রসূত শত শত বাদ্যযন্ত্র। শুধু তা-ই নয়, জলের গানের অফিশিয়াল স্টুডিও হিসেবেও ব্যবহৃত হতো বাড়িটি। দলের সকলের দলগত সংগীতচর্চা থেকে শুরু করে, সকল স্টুডিও ওয়ার্ক—রেকর্ডিং, মিক্সিং, এডিটিং এখানেই হতো।’