কিংবদন্তি কাওয়াল নুসরাত ফতেহ আলী খানের অনুরাগীদের জন্য সুখবর দিয়েছে ব্রিটিশ রেকর্ড লেবেল রিয়েল ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস।
তাঁর মৃত্যুর ২৭ বছর পর হারানো অ্যালবাম চেইন অব লাইট প্রকাশের ঘোষণা দিয়েছে রেকর্ড লেবেলটি। মৃত্যুর বছর সাতেক আগে ১৯৯০ সালে রিয়েল ওয়ার্ল্ড স্টুডিওজে অ্যালবামটি রেকর্ড করেছেন তিনি।
মাঝে দশকের পর দশক ধরে সেই অ্যালবামের কোনো খোঁজ মেলেনি। রিয়েল ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের গুদামে পড়ে ছিল। ২০২১ সালে আর্কাইভ স্থানান্তরের সময় অ্যালবামের অ্যানালগ টেপ পাওয়া যায়। টেপ থেকে গানগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।
সাড়ে তিন দশকের পুরোনো এই অ্যালবাম আগামী ২০ সেপ্টেম্বর শ্রোতাদের সামনে নিয়ে আসছে রিয়েল ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস। এটি সিডি, স্ট্যান্ডার্ড এলপি আকারে পাওয়া যাবে। ১৯ জুন অ্যালবামের একটি টিজার প্রকাশ করেছে সংগীতশিল্পী পিটার গ্যাব্রিয়েলের এই রেকর্ড লেবেল।
রিয়েল ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের সঙ্গে নুসরাত ফতেহ আলী খানের সখ্য বেশ পুরোনো। এই লেবেল থেকেই ১৯৯০ সালে নুসরাত ফতেহ আলী খান ও কানাডিয়ান গিটারিস্ট মাইকেল ব্রুকের কাওয়ালি ফিউশন অ্যালবাম মাস্ত মাস্ত অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছিল।
চেইন অব লাইট অ্যালবামে চারটি কাওয়ালি রয়েছে; এর মধ্যে একটি কাওয়ালি আগে শোনেননি শ্রোতারা। এই অ্যালবামে নুসরাত ফতেহ আলী খানের সঙ্গে ফররুখ ফতেহ আলী খানসহ আটজনের একটি দল কাজ করেছে।
পিটার গ্যাব্রিয়েল এক বিবৃতিতে লিখেছেন, ‘বিশ্বের বহু শিল্পীর সঙ্গে আমার কাজের সৌভাগ্য হয়েছে। তাঁদের মধ্যে সম্ভবত শ্রেষ্ঠ সংগীতশিল্পী নুসরাত ফতেহ আলী খান।’
কাওয়ালিকে পশ্চিমা শ্রোতাদের মধে৵ ছড়িয়ে দিয়ে অগ্রগণ্য ভূমিকা রেখেছেন পাকিস্তানি সংগীতশিল্পী নুসরাত ফতেহ আলী খান।
‘অ্যালবামটি খুঁজে পাওয়ার পর আমরা ভীষণ আনন্দিত হয়েছি। এটি একটি দুর্দান্ত রেকর্ড।’,—বলেন রিয়েল ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের এই কর্তাব্যক্তি।
নুসরাত ফতেহ আলী খানকে বিশ্বের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ কাওয়ালি সংগীতশিল্পী হিসেবে অভিহিত করেছে নিউইয়র্ক টাইমস। ২০২৩ সালে রোলিং স্টোনের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ২০০ সংগীতশিল্পীর তালিকায় ছিলেন তিনি।
হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে ১৯৯৭ সালে মাত্র ৪৮ বছর বয়সে লন্ডনে মারা গেছেন তিনি।