চলে গেলেন পাঞ্জাবি সংগীতশিল্পী সুরিন্দর শিন্দা। আজ বুধবার সকাল সাড়ে সাতটায় লুধিয়ানার ডিএমসি হাসপাতালে সুরিন্দর শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার
জানা গেছে, অসুস্থ শিল্পীকে স্থানীয় মডেল টাউন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। লুধিয়ানায় ২০ দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন শিল্পী। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুকালে শিল্পীর বয়স হয়েছিল ৬৪ বছর।
শিন্দার একটি ছোট অস্ত্রোপচারও হয়েছিল। অস্ত্রোপচারের পরই তাঁর সংক্রমণ ধরা পড়ে। তিনি শ্বাসকষ্টে ভুগতে শুরু করেন। এরপরই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এর আগেও বেশ কয়েকবার তাঁর মৃত্যুর গুজব ছড়িয়েছিল।
ভক্তরা ভীষণভাবে উদ্বিগ্ন ছিলেন তাঁর এই খবরে। সে সময়ে তাঁর ছেলে মনিন্দর শিন্দা সংবাদমাধ্যমে আশ্বস্ত করেন যে তাঁর বাবা ঠিক আছেন। গুজবে কান দেওয়ার প্রয়োজন নেই। বাবার শারীরিক অবস্থা সময়মতো তিনি জানাবেন। শিল্পীর অনুরাগীরাও মনিন্দরের লাইভে এসে সুরিন্দরের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। একদিকে যখন অসুস্থ পরিবারের মানুষ, সেই সময় একের পর এক গুজবে আরও ভেঙে পড়েছিলেন পরিবার-পরিজনেরা। তবে সব লড়াই যেন মুহূর্তে থমকে গেল। গুজবই সত্যি হলো।
সুরিন্দর শিন্দার বেশ কিছু জনপ্রিয় গান রয়েছে। বছরের পর বছর একের পর এক ছবিতে হিট গান মুগ্ধ করেছে ভক্তদের।
তাঁর জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে ‘পুত জত্তন দে’, ‘ট্রাক বিলিয়া’, ‘বলবিরো ভাবী’, ‘কাহের সিং দি মাউত’ ইত্যাদি। এ ছাড়া ‘জিওনা মোড়’ এবং ‘বদলা লে লায়েন সোহনেয়া’ গানগুলো পাঞ্জাবি সংগীতের অন্যতম সেরা হিট গান। শুধু একজন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ছিলেন না। একাধিক পঞ্জাবি ছবিতে অভিনয়ও করেছেন তিনি। ‘পুত জাটান দা’, ‘উঁচা দর বাবে নানক দা’-এর মতো কিছু ছবিতে অভিনয় করতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে।
১৯৫৯ সালের ২০ মে শিন্দার জন্ম। রামঘরিয়া শিখ পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। কারণ, সুরিন্দর পাল ধম্মি ওরফে শিন্দা পাঞ্জাবের লুধিয়ানা জেলার ছোট আয়ালি গ্রামের বাসিন্দা। বরাবরই এ সংগীতশিল্পী ব্যতিক্রমী গায়কি আর ছান্দিক উপস্থাপনার জন্য জনপ্রিয়।
শিল্পীর প্রয়াণে শোকের ছায়া পরিবার-পরিজনসহ সাংস্কৃতিক মহলে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করেছেন ভক্তরা।