ছয় বছর পর চলতি বছরের জুন মাসে সপ্তম অ্যালবাম ‘রেনেসাঁ’ মুক্তির ঘোষণা দেন বিয়ন্সে। এর পর থেকেই ভক্তরা অপেক্ষায় ছিলেন প্রিয় গায়িকার অ্যালবামের। তাঁর আগের অ্যালবাম ‘লেমোনেড’ বিপুল ব্যবসায়িক সাফল্যের সঙ্গে পায় সমালোচকদের প্রশংসাও। রেকর্ড গ্র্যামিজয়ী শিল্পীর নতুন অ্যালবামটিও যে একই পথে হাঁটবে, সে আর আশ্চর্য কী। তবে অ্যালবামের একটি ‘হিটেড’ গান একটি শব্দ ব্যবহারের কারণে প্রবল তোপের মুখে পড়েন বিয়ন্সে।
গানে ব্যবহৃত একটি শব্দ সেরিব্রাল পালসি রোগাক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য অবমাননাকর—এ অভিযোগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গায়িকাকে রীতিমতো তুলাধোনা করা হয়। ব্যাপক প্রতিবাদের মুখে অবশেষে গানটি থেকে বিতর্কিত শব্দগুলো বাদ ঘোষণা দেন গায়িকা। এত বিতর্কের পরও ২৯ জুলাই মুক্তি পাওয়া অ্যালবামটি ঠিকই টপ চার্টের শীর্ষে উঠেছে।
বিবিসি জানিয়েছে, মুক্তির দিন কয়েক পরেই ইউকে অফিশিয়াল অ্যালবাম চার্টের শীর্ষে উঠে এসেছে। ‘ডেনজারাসলি ইন লাভ’, ‘ফোর’ ও ‘লেমোনেড’-এর পর এটা বিয়ন্সের তৃতীয় অ্যালবাম, যা ইউকে অ্যালবাম চার্টের শীর্ষে জায়গা করে নিল। শুধু তা–ই নয়, গত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি বিক্রিও হয়েছে বিয়ন্সের অ্যালবামটি। যুক্তরাজ্য ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া, আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্সেও অ্যালবামটি টপ চার্টের শীর্ষে আছে। নানা বিতর্কের পরেও রেনেসাঁ যে ঝড় তুলবে, সে ইঙ্গিত অবশ্য আগেই দিয়েছিল ভ্যারাইটি।
ছয় বছরকিছুদিন আগে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিয়ন্সে জানিয়েছিলেন, মহামারির সময় পুরো পৃথিবী যখন থমকে গিয়েছিল, তখন অ্যালবামটির কাজ করেছেন তিনি। সে সময়টাকে জীবনের সেরা ‘সৃজনশীল সময়’ বলেও উল্লেখ করেন গায়িকা।