শুরু হচ্ছে লোকসংগীত উৎসব। ছবি : সংগৃহীত
শুরু হচ্ছে লোকসংগীত উৎসব। ছবি : সংগৃহীত

দুই দিনের রাধারমণ উৎসবে গাইবেন দেড় শতাধিক বাউল

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উন্মুক্ত মঞ্চে শুরুতে টানা তিন দিন লোকসংগীত উৎসব অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। রাধারমণ সংস্কৃতিচর্চা কেন্দ্রের আয়োজনে এ উৎসবের সময় এক দিন কমিয়ে আনা হয়েছে। ১৭ ও ১৮ নভেম্বর লোকসংগীত উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এটি ত্রয়োদশ আয়োজন। এবারের উৎসবের প্রতিপাদ্য—‘রাধারমণ কমপ্লেক্স নির্মাণ সময়ের দাবি’। এবারের উৎসবে দেড় শতাধিক বাউলশিল্পী অংশগ্রহণ করবেন বলে আয়োজকদের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। প্রতিদিন বিকেল সাড়ে চারটায় শুরু হয়ে রাত নয়টা পর্যন্ত অনুষ্ঠান চলবে।

সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এ উৎসবের উদ্বোধন রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার হাটগ্রামের প্রবীণ কীর্তনীয়া সুবল চন্দ্র বসাক। প্রধান অতিথি থাকবেন সংসদ সদস্য ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর। বিশেষ অতিথি থাকবেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সংগীত পরিচালক সুজেয় শ্যাম প্রমুখ।

আয়োজক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, লোকসংগীত উৎসবে রাধারমণ, হাসন রাজা, জালাল খাঁ, উকিল মুন্সী, মনমোহন দত্ত, শেখ ভানু, ফকির দীন হীন, শাহ আরকুম আলী, দীন শরৎ, শাহ আবদুল করিম, দুর্বিন শাহ, কালা শাহের গান ও বাণী পরিবেশিত হবে। উৎসবে ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন স্থানের প্রায় ১৫০ জন বাউল ও শিল্পী অংশগ্রহণ করবেন। সবাইকে উৎসব ক্রেস্টসহ আর্থিক সম্মানী প্রদান করা হবে।

আয়োজক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সারা দেশে রাধারমণচর্চা ছড়িয়ে দিতে অনলাইনে ক্লাস চলছে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারতের এবং দেশের অনেকে এ অনুষ্ঠানে যুক্ত হতে পারছেন না। তারপরও সারা দেশ থেকে যেসব বাউলশিল্পী এসেছেন, তাঁদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শরীরচর্চা কেন্দ্রে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সব শিল্পীকে আনা-নেওয়া, থাকা-খাওয়া, পোশাক ও আর্থিক সম্মানী প্রদান করা হবে। উৎসবে ১০টি পিঠার স্টল রাখা হবে। এ উৎসবে আমন্ত্রণপত্র, স্যুভেনির, ডিজিটাল ব্যাকড্রপ, পিভিসি গেট ও বিলবোর্ড লাগানো হবে। আমন্ত্রিত অতিথিদের উৎসব স্মারক, ব্যাগ ও উত্তরীয় প্রদান করা হবে।

আয়োজক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উৎসবের শেষ দিন বাংলাদেশ সংগীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদ, রাধারমণ সংস্কৃতিচর্চা কেন্দ্র ও আমরা একাত্তরের উদ্যেগে ভারতীয় ‘পিপ্পা’ চলচ্চিত্রে কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত ‘কারার ঐ লৌহ–কবাট’ গানটি বিকৃত রূপে গাওয়ার প্রতিবাদে শুদ্ধস্বরে গানটি গেয়ে প্রতিবাদ জানানো হবে। একই তারিখে স্থানীয় একই সময়ে কলকাতাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে একইভাবে প্রতিবাদ জানানো হবে।