উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী রুনা লায়লাকে ঘিরে তাঁর অনুজপ্রতিম শিল্পীরা। (বাঁ দিক থেকে) ইমরান, কনা, লিজা, নিশিতা বড়ুয়া, আঁখি আলমগীর, রুনা লায়লা, ঝিলিক, কোনাল, ইউসুফ ও কিশোর
উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী রুনা লায়লাকে ঘিরে তাঁর অনুজপ্রতিম শিল্পীরা। (বাঁ দিক থেকে) ইমরান, কনা, লিজা, নিশিতা বড়ুয়া, আঁখি আলমগীর, রুনা লায়লা, ঝিলিক, কোনাল, ইউসুফ ও কিশোর

রুনার স্বপ্নের বাড়িতে তাঁদের স্বপ্নের সন্ধ্যা

উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা ১৭ নভেম্বর জীবনের ৭০ বছর পূর্ণ করেছেন। ৭০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ২০ নভেম্বর ঢাকার একটি পাঁচ তারকা হোটেলে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেদিনের অনুষ্ঠানে দীর্ঘ সংগীতজীবনে রুনা লায়লার গান পরিবেশন করেন এ সময়ের সংগীতশিল্পীরা। ২৬ নভেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় তাঁদের প্রতি ভালোবাসা ও ধন্যবাদ জানাতে রুনা লায়লা তাঁর মোহাম্মদপুরের বাড়ি ড্রিমে আমন্ত্রণ জানান সবাইকে। সন্ধ্যা থেকে একে একে সবাই আসা শুরু করেন। গল্প, আড্ডা, গান আর খাওয়াদাওয়ায় মধ্যরাত পর্যন্ত রুনা লায়লার সান্নিধ্যে সময় কাটান তাঁর অনুজপ্রতিম শিল্পীরা। সবাই একবাক্যে বলেছেন, রুনা লায়লার সঙ্গে কাটানো গতকালের সন্ধ্যা ছিল তাঁদের জীবনের স্বপ্নের একটি সন্ধ্যা। একনজরে ঘুরে আসা যাক, ছবিতে ছবিতে দেখে নেওয়া যাক রুনার বাড়িতে অতিথি হয়ে গিয়েছিলেন কারা...
রুনা লায়লার সঙ্গে সংগীতশিল্পী ও সংগীত পরিচালক বাপ্পা মজুমদার এবং অভিনয়শিল্পী ও উপস্থাপক স্ত্রী তানিয়া হোসাইন
সংগীতশিল্পী আঁখি আলমগীর তাঁর ফেসবুকে দুই ডজনের বেশি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘আনন্দে পরিপূর্ণ একটি অসাধারণ রাত। আমাদের সবচেয়ে আপন রুনা লায়লা আন্টি এবং আমার সমস্ত প্রিয় ভাই ও বোনদের সাথে স্মরণীয় একটি রাত। খাবার যেমন অসাধারণ স্বাদে পরিপূর্ণ, তেমনি ছিল গান এবং আড্ডা। আহা কী এক রাত!’
রুনা লায়লার সঙ্গে ছবি পোস্ট করে সংগীতশিল্পী কনা লিখেছেন, ‘কাল রাতের এক অবিস্মরণীয় মুহূর্ত। শ্রদ্ধেয় রুনা লায়লা ম্যামের বাসায়। এতটাও কি চেয়েছিলাম এই জীবনে! আলহামদুলিল্লাহ। অসংখ্য ধন্যবাদ ম্যাম।’
রুনা লায়লার সঙ্গে একাধিক ছবি পোস্ট করে সংগীতশিল্পী ইমরান লিখেছেন, ‘গতকাল চমৎকার একটা সন্ধ্যা কাটল কিংবদন্তি রুনা লায়লা ম্যাডামের বাসায়। তাঁর আমন্ত্রণে আমাদের এ প্রজন্মের শিল্পীরা একত্র হলাম। গান, গল্প আর ভালোবাসা নিয়ে পুরোটা সময় দারুণ কাটল। কী সুন্দর-সাবলীল আয়োজন, আমাদের ধন্যবাদ জানিয়ে এই উদ্‌যাপন! মহান কিংবদন্তির এই উদারতা, স্নেহ দেখে নতুন করে আবারও শ্রদ্ধার সঞ্চালন হলো আমার মনে। ভালোবাসার নিবেদন আপনার প্রতি। ইউ আর গ্রেট, রুনা লায়লা ম্যাম।
রুনা লায়লার সঙ্গে একাধিক স্থিরচিত্র পোস্ট করে সংগীতশিল্পী কোনাল লিখেছেন, ‘সুরের রানির স্বপ্নের নীড়ে আমরা। গতকাল রাতে ম্যাডাম রুনা লায়লা ও আলমগীর স্যারের বাড়িতে। ধন্যবাদ ম্যাডাম, আপনার আন্তরিক আতিথেয়তা, সুস্বাদু খাবার, উষ্ণ ভালোবাসা এবং সুন্দর সময়ের জন্য।’
সংগীতশিল্পী কিশোর লিখেছেন, ‘জীবন্ত কিংবদন্তি রুনা লায়লা ম্যামের বাড়িতে এটা ছিল অবিস্মরণীয় সন্ধ্যা। সঙ্গে ছিল আমার ভালোবাসার সহকর্মীরা। সময়টা উপভোগ করেছি গান, খাওয়াদাওয়া এবং অবশ্যই ছবি তোলা; যা ভবিষ্যতে স্মৃতিগুলো লালন করবে। ধন্যবাদ ম্যাম, আপনি আমাদের কাছে সত্যিকারের অনুপ্রেরণা।
রোববার রাতে ফেসবুকে একাধিক স্থিরচিত্র পোস্ট করে সংগীতশিল্পী ঝিলিক লিখেছেন, ‘এ রকম একটা মুহূর্তের অংশ হতে পারাটাও ভীষণ ভাগ্যের ব্যাপার। গতকাল চমৎকার একটা সন্ধ্যা কাটল জীবন্ত কিংবদন্তি রুনা লায়লা ম্যাডামের বাসায়। তাঁর আমন্ত্রণে আমাদের এ প্রজন্মের শিল্পীরা একত্র হলাম। কিংবদন্তিরা বুঝি এমনই হয়। কী সুন্দর সাবলীল আয়োজন, আমাদের ধন্যবাদ জানিয়ে এই উদ্‌যাপন। রুনা লায়লা ম্যাডাম, আপনি সব সময় ভালো থাকবেন এবং এ রকমই থাকবেন। অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা, ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা আপনার প্রতি রইল।’
সংগীতশিল্পী লিজা লিখেছেন, ‘গতকাল চমৎকার একটা সন্ধ্যা কাটল কিংবদন্তি রুনা লায়লা ম্যাডামের বাসায়। তাঁর আমন্ত্রণে আমাদের এ প্রজন্মের শিল্পীরা একত্র হলাম। গান, গল্প আর ভালোবাসা নিয়ে পুরোটা সময় দারুণ কাটল। কী সুন্দর-সাবলীল আয়োজন, আমাদের ধন্যবাদ জানিয়ে এই উদ্‌যাপন। মহান কিংবদন্তির এই উদারতা, স্নেহ দেখে নতুন করে আবার শ্রদ্ধার সঞ্চালন হলো আমার মনে। ভালোবাসার নিবেদন আপনার প্রতি। ইউ আর গ্রেট, রুনা লায়লা ম্যাম।’
সংগীতশিল্পী ইউসুফ লিখেছেন, ‘একটা পারিবারিক মিলনমেলা। ভাইবোনের সাথে একটা ছাদের নিচে, দেশের সংগীতসাগরের সবচেয়ে বড় মানিক যিনি, তাঁর বাসায়, আমাদের একজন রুনা লায়লাজির বাসায়। ভালোবাসা ম্যাম। কথায়-গল্পে আর গান-আড্ডায় একটা অন্য রকম মুহূর্ত।
সংগীতশিল্পী নিশিতা বড়ুয়া রোববার রাতে নিজের ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘বহুদূরে থেকে চাঁদ-তারার ব্যাপারে মানুষের যে রকম আগ্রহ থাকে, আমার সে রকম আগ্রহ ছিল রুনা লায়লা ম্যামকে নিয়ে। আলমগীর স্যারের সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা হলেও ম্যামকে দেখিনি। দেখার ইচ্ছে পূরণ করলেন অভি মঈনুদ্দীন (সাংবাদিক) দাদা। কখনোই চাইনি কিন্তু! আবদারও করিনি। কী করে জানি ইচ্ছেটা দাদার সঙ্গে কানেক্ট হয়ে গেছে। থ্যাংকস দাদা। ধন্যবাদ, ম্যাম রুনা লায়লা। ধন্যবাদ, স্যার আলমগীর। আপনাদের আন্তরিকতা-ভালোবাসায় আমরা আসক্ত হয়ে পড়েছি।’