হত্যাচেষ্টা মামলায় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল গানবাংলার চেয়ারম্যান কৌশিক হোসেন তাপসকে গ্রেপ্তার করেছে উত্তরা পূর্ব থানা। গতকাল রোববার দিবাগত ১২টার পর ডিবি পুলিশের সহায়তায় তাঁকে ভাটারা থানাধীন গান বাংলা চ্যানেল কার্যালয়ের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রথম আলোকে আজ সোমবার গ্রেপ্তারের খবরটি নিশ্চিত করেছেন উত্তরা পূর্ব থানার উপপরিদর্শক মোহাম্মদ লিটন।
উত্তরা থানার উপপরিদর্শক প্রথম আলোকে জানান, তাপসের মামলা নম্বর ৯। এদিকে আজ সোমবার সকাল সাড়ে দশটায় তাপসকে আদালতে নেওয়া হয়। এরপর তাপসকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁর সাত দিনের রিমান্ড শুনানির জন্য আগামী বুধবার দিন ধার্য করা হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুজজামান এ আদেশ দেন। এদিন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাপসকে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পূর্ব থানার উপপরিদর্শক মো. মহিববুল্লাহ তাঁকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন।
গ্রেপ্তারের বিষয়ে উত্তরা থানার উপপরিদর্শক লিটন জানালেন, তাপসের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। এদিকে মামলার সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৮ জুলাই ইশতিয়াক মাহমুদ নামের এক ব্যবসায়ীসহ অন্যরা কর্মসূচিতে অংশ নেন। উত্তরা পূর্ব থানাধীন ৪ নম্বর সেক্টরের আজমপুর নওয়াব হাবিবুল্লাহ হাই স্কুলের সামনে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ হামলা চালায় এবং গুলিবর্ষণ করে।
ইশতিয়াকের পেটে গুলি লাগে। এরপর তিনি ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। এ ঘটনায় গত ২৯ সেপ্টেম্বর ইশতিয়াক মাহমুদ বাদী হয়ে উত্তরা পূর্ব থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। মামলায় সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল-মামুনসহ ১২৬ জনকে আসামি করা হয়। কৌশিক হোসেন তাপস এ মামলার ৯ নম্বর আসামি।
এর আগে গত ৫ আগস্ট রাজধানীর প্রগতি সরণিতে অবস্থিত সংগীতভিত্তিক টিভি চ্যানেল গানবাংলার ভবনে হামলা চালানো হয় বলে দাবি করা হয় প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে। তাদের দাবি, হামলায় চ্যানেলটির স্টুডিও সেটআপ, শুটিং ফ্লোর, সাউন্ড সিস্টেম, এডিটিং প্যানেল, সম্প্রচারযন্ত্রসহ অনেক সরঞ্জাম ধ্বংস হয়ে যায়।