অলকা ইয়াগনিক। ইনস্টাগ্রাম থেকে
অলকা ইয়াগনিক। ইনস্টাগ্রাম থেকে

২১ হাজারের বেশি গান গেয়েছেন অলকা

তখন ইন্টারনেট ছিল না, স্মার্টফোনে বোতাম চাপলেই ইচ্ছামতো গান শোনার সুবিধাও ছিল না; তবে সেই নব্বইয়ের দশকেও উপমহাদেশের হাজারো শ্রোতার কাছে পৌঁছাতে তাঁর বিন্দুমাত্র অসুবিধা হয়নি। তাঁর মেলোডিতে বুঁদ হননি, এমন সংগীত সমঝদার কমই আছেন। তিনি আর কেউ নন, অলকা ইয়াগনিক। আজ ২০ মার্চ প্রখ্যাত এই সংগীতশিল্পীর জন্মদিন। এ উপলক্ষে হিন্দুস্তান টাইমস, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস অবলম্বনে গায়িকা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক কিছু তথ্য।

মূলত হিন্দি মেলোডি গানের জন্য পরিচিতি হলেও অনেক শ্রোতাপ্রিয় বাংলা গানও গেয়েছেন অলকা। অনেককেই জানেন না, গায়িকার জন্ম কলকাতায়। ১৯৬৬ সালের ২০ মার্চ কলকাতায় এক গুজরাটি পরিবারে জন্ম অলকার।

অলকা ইয়াগনিক। ইনস্টাগ্রাম থেকে

মাত্র ছয় বছর বয়সে কলকাতায় আকাশবাণী রেডিওতে গান করেন তিনি। মাত্র ১০ বছর বয়সে চলে যান মুম্বাই। ইচ্ছে ছিল গানের ক্যারিয়ার গড়ার। তবে তাঁকে পরামর্শ দেওয়া হয়, কণ্ঠ আরও একটু পরিণত হলে চেষ্টা করতে।

১৯৮০ সালে ‘পায়েল কি ঝংকার’ সিনেমায় প্রথম প্লেব্যাক করেন অলকা। তবে তিনি ব্যাপক পরিচিতি পান আরও পরে, ১৯৮৮ সালে ‘তেজাব’ সিনেমার ‘এক দো তিন’ গানে প্লেব্যাক করে। এরপর তো একে একে গত তিন দশকের বেশি সময়ে অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় গানে কণ্ঠ দিয়েছেন অলকা ইয়াগনিক এবং এখনো গেয়ে যাচ্ছেন।

চার দশকের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ১ হাজারে বেশি সিনেমায় গান গেয়েছেন অলকা ইয়াগনিক। ২৫টি আলাদা আলাদা ভাষায় তাঁর মোট গানের সংখ্যা ২১ হাজারের বেশি। বিবিসির করা সেরা ৪০ হিন্দি গানের তালিকায় অলকা ইয়াগনিকের গানই আছে ২০টি। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে ইউটিউব মিউজিক চার্টস অ্যান্ড ইনসাইটস লিস্টের শীর্ষ গায়িকা হন অলকা।

২০২২ সালে ইউটিউবে ১৫.৩ বিলিয়ন ভিউ নিয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস গড়েন অলকা ইয়াগনিক। ইদানীং আর আগের মতো প্লেব্যাকে পাওয়া যায় না অলকা ইয়াগনিককে। এ প্রসঙ্গে ২০১৮ সালে টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি আমি একদমই পছন্দ করি না, এখানে বেশির ভাগ গানেই সুর এবং প্রাণ নেই। এখনকার গানে অনেক শোরগোল, শোনার মতো খুব কম গানই আমি খুঁজে পাই। এ ছাড়া আমি রিমিক্স গান পছন্দ করি না। আমার সঙ্গে এসব গান যায় না, আমি তো সবকিছু গাইতে পারি না। তাই এই ব্যাপারে আমি খুঁতখুঁতে।’