গুরুর জন্য গান বানাতে পেরে শিষ্যের উচ্ছ্বাস

হাবিব ওয়াহিদ ও ইমরান মাহমুদুল
হাবিব ওয়াহিদ ও ইমরান মাহমুদুল

চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠ প্রতিযোগিতায় ২০০৮ সালে রানারআপ হওয়ার পর সংগীতাঙ্গনে ইমরান মাহমুদুলের কেটে গেছে ১৪ বছর। গানে গানে তৈরি করেছেন নিজের স্বতন্ত্র একটি অবস্থান। সংগীতজগতে চলার পথে ইমরান গুরু হিসেবে মানেন দেশের জনপ্রিয় গায়ক ও সংগীত পরিচালক হাবিব ওয়াহিদকে। ইমরানকেও ভীষণ স্নেহ করেন হাবিব। পেশাদার সংগীতজীবনের শুরুতে ২০১০ সালের দিকে ইমরান যখন ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় থাকতেন, তখন হাবিব ওয়াহিদের ধানমন্ডির স্টুডিওতে যাওয়া-আসা ছিল তাঁর। সেই সময়ে হাবিবের কাছ থেকে সংগীত পরিচালনার নানা কৌশল শেখার চেষ্টা করতেন তিনি। হাবিবের তৈরি বিজ্ঞাপনচিত্রের জিঙ্গেলে তিনি কণ্ঠ দিতেন, কণ্ঠ দেন চলচ্চিত্রের গানেও। এরই মধ্যে পেরিয়েছে ১২ বছর। এই সময়ে এসে ইমরানের সুর ও সংগীতে কণ্ঠ দিলেন তাঁর গুরু হাবিব ওয়াহিদ।

ইমরান ও হাবিব

ইমরানের সুর ও সংগীতে হাবিবের গাওয়া ‘বোকা মন’ শিরোনামের এই গানের কথা লিখেছেন রজত। নিজের সুর ও সংগীতে গুরুর কণ্ঠ দেওয়ার ব্যাপারটি জীবনের অন্যতম অর্জন মনে করছেন ইমরান।

তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে গানটা নিয়ে পরিকল্পনা হচ্ছিল। ওস্তাদকে গানটা পাঠানোর পর প্রথমে সুরটা পছন্দ করেন। গাইতে রাজি হয়েছেন, এটা আমার জন্য অনেক ভালো লাগার, আনন্দের। গানের সুর ও সংগীতের পাশাপাশি আমাকে মিক্সড করে দিতে রাজি হয়েছেন। এটাও অনেক বড় প্রাপ্তি আমার জন্য। যাঁর সুর ও মিউজিক শুনে মিউজিক করার আগ্রহ ও অনুপ্রেরণা পেয়েছি, সেই মানুষের জন্য গান করতে পারা আমার জন্য সত্যি অনেক সৌভাগ্যের। আমার ১৪ বছরের মিউজিক ক্যারিয়ারের অন্যতম সফলতা মনে হচ্ছে।’

বিজ্ঞাপনচিত্রের জিঙ্গেলে কণ্ঠ দেওয়া ছাড়াও হাবিব ওয়াহিদের সুর-সংগীতে ইমরান তুমি সন্ধ্যার মেঘমালা চলচ্চিত্রে ‘রোমিও–জুলিয়েট’ শিরোনামে একটি গানে কণ্ঠ দেন। চলচ্চিত্রটি মুক্তি না পেলেও গানটি মুক্তি পায়। শফিক তুহিনের লেখা সেই গানে ইমরানের সহশিল্পী ছিলেন কনা।

কথায়–কথায় ইমরান বললেন, ‘একজন হাবিব ওয়াহিদ আমার জন্য অনেক বিশাল কিছু। ২০১০–এর দিকে আমি সেই যাত্রাবাড়ীর কোনাপাড়া থেকে বসের জিঙ্গেল গাওয়ার জন্য, বসকে কাছ থেকে দেখার জন্য, তাঁর কাছ থেকে একটুখানি শেখার জন্য ছুটে যেতাম স্টুডিওতে। আজ ১২ বছর পর তাঁর জন্য সুর ও সংগীত করতে পেরেছি, এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। অনেক কিছু বলতে ইচ্ছা করছে, আমি আবেগে আপ্লুত, তাই ভাষা হারিয়ে ফেলছি আনন্দে। শুধু এটুকু বলতে চাই, এই গান আমার জন্য শুধু একটি গান নয়, আমার জন্য অনেক বড় আবেগের বিষয়। গানটি কেমন করতে পেরেছি, আমি জানি না, তবে চেষ্টার কোনো ত্রুটি রাখেনি।’

বড় আয়োজনে গানটির ভিডিও প্রকাশিত হবে বলে জানালেন ইমরান।