পরিচালক ইমন সাহা, অভিনয়ে জিতু ও স্বাগতা

দেশের প্রখ্যাত সংগীত পরিচালক সত্য সাহা ডজনখানেক ছবি প্রযোজনাও করেছেন। স্ত্রী রমলা সাহাকে দিয়ে তাঁদের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান স্বরলিপি বাণীচিত্র থেকে ‘অশিক্ষিত’, ‘ছুটির ঘন্টা’, ‘বিনিময়’, ‘রাম রহিম জন’, ‘পুরস্কার’, ‘তোমার জন্য পাগল’-এর মতো ছবি প্রযোজনা করেছেন। দীর্ঘ সময় ধরে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ ছিল। সত্য সাহার ছেলে সংগীত পরিচালক ইমন সাহার হাত ধরে আবার চালু হতে যাচ্ছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটি। শুরুতেই তিনি বানাতে যাচ্ছেন ২০ মিনিটের একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। ‘সাইলেন্স; আ মিউজিক্যাল জার্নি’, এই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে নতুনভাবে স্বরলিপি বাণীচিত্রের যাত্রা শুরু হচ্ছে।

সংগীতবিষয়ক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘সাইলেন্স; আ মিউজিক্যাল জার্নি’র প্রধান চরিত্রে অভিনয় করবেন জিতু আহসান, চুক্তি স্বাক্ষরের দিন ইমন সাহার সঙ্গে তিনি
ছবি : সংগৃহীত

ইমন সাহা সুরকার ও সংগীত পরিচালক হিসেবেই বেশি পরিচিত। চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালনার জন্য সাতবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন তিনি। এবারই প্রথম পরিচালক হিসেবে অভিষেক ঘটতে যাচ্ছে তাঁর। নভেম্বরে তৃতীয় সপ্তাহে ঢাকা ও এর আশপাশের বিভিন্ন স্থানে টানা চার-পাঁচ দিন ছবিটির শুটিং হবে। বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষায় স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটির শুটিং হবে বলেও জানালেন ইমন।

সংগীতবিষয়ক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘সাইলেন্স; আ মিউজিক্যাল জার্নি’র প্রধান চরিত্রে অভিনয় করবেন স্বাগতা

সংগীতবিষয়ক এই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করবেন জিতু আহসান ও স্বাগতা। এরই মধ্যে দুই অভিনয়শিল্পীর সঙ্গে চুক্তিও হয়েছে। পরিচালনার পাশাপাশি কাহিনি ও চিত্রনাট্য করেছেন ইমন সাহা। ছবিটি প্রসঙ্গে তিনি বললেন, ‘একজন শিল্পীর জীবনের ভ্রমণ এই ছবিতে তুলে ধরা হবে। আমরা জানি, শিল্পীর ভ্রমণ আধ্যাত্মিকই হয়, কিন্তু স্বাভাবিক চোখে দেখলে মনে হয় জাগতিক ভ্রমণ। এই জাগতিক ভ্রমণ করতে গিয়ে সমাজ ও বাস্তবতার চাপে আধ্যাত্মিকতা নষ্ট হয়ে যায়। শিল্পীর আত্মাটাও মরে যায়। ওই থিম ধরে আমার চলচ্চিত্রে গল্প এগোবে।’

ইমন সাহা সুরকার ও সংগীত পরিচালক হিসেবেই বেশি পরিচিত। চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালনার জন্য সাতবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন। এবারই প্রথম পরিচালক হিসেবে অভিষেক ঘটতে যাচ্ছে তাঁর

কথা হয় স্বাগতার সঙ্গে। তিনিও এমন একটি গল্পের সঙ্গে যুক্ত হতে পারছেন, তাই ভীষণ আনন্দিত। বললেন, ‘ইমন সাহার সঙ্গে আমার অনেক বছরের পরিচয়। তিনি অসাধারণ একজন সংগীত পরিচালক। তাঁর পরিবারেরও একটা ঐতিহ্য আছে। সংগীতের মানুষ বলে পারিবারিকভাবেও আমাদের একটা যোগাযোগ ছিল। আমার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র শত্রু শত্রু খেলার সংগীত পরিচালকও তিনি। তিনি যখন স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বানানোর সিদ্ধান্ত নিলেন, চরিত্রটা সম্পর্কে বললেন, ভীষণ ভালো লাগে। গল্পটা শুনে দেখলাম, চরিত্রটাই একটা মিউজিক্যাল ইনস্ট্রুমেন্ট। এটা আমার কাছে ভিন্ন রকম মনে হয়েছে। এ-ও মনে হয়েছে, চরিত্রটা বহন করতে পারাটা চ্যালেঞ্জ হবে, সঙ্গে শিক্ষাও হবে।’