ফকির আলমগীর
ফকির আলমগীর

নানা আয়োজনে ফকির আলমগীরকে স্মরণ

প্রয়াত গণসংগীতশিল্পী ফকির আলমগীরের জন্মদিন আজ। বিশেষ এই দিনে নানা আয়োজনে তাঁকে স্মরণ করবে ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠী, বাংলাদেশ গণসংগীত সমন্বয় পরিষদ ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন। এ ছাড়া উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠী, সুরতাল, ভিন্নধারাসহ একাধিক সংগঠন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।
ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠীর পাঠানো এক সাংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানা হয়েছে, ২১ ফেব্রুয়ারি সকালে এই গায়কের খিলগাঁও তালতলা কবরস্থানে দোয়ার আয়োজন করা হবে। এ ছাড়া পুষ্প অর্পণের মাধ্যমে প্রিয় শিল্পীর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হবে।

পরে ২৪ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে চারটায় বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নুরুল হুদা, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন লেখক ও গবেষক গোলাম কুদ্দুছ। এ ছাড়া সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটসহ সাংস্কৃতিক অঙ্গনের আরও অনেকে উপস্থিত থাকবেন।

ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠী ও গণশিল্পীগোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে ষাটের দশকে বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে এবং ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানে গণসংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে ভূমিকা রেখেছেন ফকির আলমগীর।

ফকির আলমগীর

গণ-অভ্যুত্থান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও নব্বইয়ের সামরিক শাসনবিরোধী গণ-আন্দোলনে তিনি শামিল হয়েছিলেন গান দিয়েই। যুদ্ধের অভিজ্ঞতা থেকে সঞ্চিত যন্ত্রণাকে পুঁজি করে দেশীয় সংগীতের সঙ্গে পাশ্চাত্য সুরের মেলবন্ধনে তিনি ও সমসাময়িক কয়েকজন শিল্পী শুরু করেছিলেন প্রথম বাংলা পপ ধারার গান। সেই ধারার বিকাশে ফকির আলমগীরের রয়েছে বিশেষ অবদান।

ফকির আলমগীর ১৯৫০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার কালামৃধা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। গণসংগীতশিল্পী হিসেবে ষাটের দশকে বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধে একজন শব্দসৈনিক হিসেবে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে সংগীত পরিবেশন করে মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। সংগীতের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ফকির আলমগীর পেয়েছেন একুশে পদক। তিনি ২০২১ সালের ২৩ জুলাই মারা যান।