এমটিভি ভিডিও মিউজিক অ্যাওয়ার্ডে প্রথমবার ব্ল্যাকপিঙ্ক

ব্ল্যাকপিঙ্কের গানের উন্মাদনায় বুঁদ হয়ে আছে ইউরোপ থেকে এশিয়া, বিশ্বজুড়ে খ্যাতি পেয়েছেন ব্যান্ডের চার শিল্পী—কিম জি সু, জেনি কিম, রোজেনা পার্ক ও লালিসা মনোবাল। ভিন্নধর্মী গায়কী আর নৃত্যের ছন্দে মাত্র ছয় বছরেই তরুণদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে ব্যান্ডটি। জনপ্রিয়তার নিরিখে বিশ্বে এটিকে নারীদের সবচেয়ে বড় ব্যান্ড হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

প্রতিনিয়ত একের পর এক রেকর্ড ভেঙে নিজেদের ছাড়িয়ে যাচ্ছে ব্ল্যাকপিঙ্ক। এর মধ্যেই আরেকটি মাইলফলক অতিক্রম করছে ব্যান্ডটি। যুক্তরাষ্ট্রের এমটিভি ভিডিও মিউজিক অ্যাওয়ার্ডের মঞ্চে প্রথমবারের কোনো নারী গানের দল হিসেবে মঞ্চে উঠছে কোরিয়ান ব্যান্ডটি। ব্ল্যাকপিঙ্কের এজেন্সি ওয়াই জি এন্টারটেইনমেন্ট জানিয়েছে, সেই মঞ্চে ব্ল্যাকপিঙ্কের পরিবেশনা থাকছে ২৮ আগস্ট।

শুক্রবার ‘পিঙ্ক ভেনম’ শিরোনামে একটি গান প্রকাশ করবে ব্ল্যাকপিঙ্ক। এরপর সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝির দিকে ব্যান্ডের দ্বিতীয় স্টুডিও অ্যালবাম ‘বর্ন পিঙ্ক’ মুক্তি পাবে। অ্যালবাম প্রকাশের পর গান নিয়ে বিশ্বভ্রমণে বেরোবে কিম, লালিসারা। আগামী বছরের জুন পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল থেকে শুরু হয়ে উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ, এশিয়া ভ্রমণ করবেন তাঁরা।

বিটিএস নাকি ব্ল্যাকপিঙ্ক—কে এগিয়ে, তা নিয়ে ভক্তদের মধ্যে প্রায়ই তর্ক চলে। দুটি ব্যান্ডই বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের শ্রোতাদের কাছে পরিচিত পেয়েছে। ২০১৬ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে গঠিত হয়েছে ব্ল্যাকপিঙ্ক। ২০১৬ সালে ‘স্কয়ার ওয়ান’ দিয়ে অ্যালবামের জগতে আত্মপ্রকাশ করে ব্যান্ডটি। তাদের ‘আইসক্রিম’ ও ‘দ্য অ্যালবাম’ বিলবোর্ডের টপচার্টে উঠেছিল। ২০১৯ সালে ইউটউবে ‘কিল দিস লাভ’ গান মুক্তির পর মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে সবচেয়ে বেশিবার ভিউয়ের রেকর্ড করেছিল।