বড় হয়ে অস্কার জিতেছিলেন, এই বালককে চিনতে পেরেছেন?

ছবির এই বালক বড় হয়ে বিখ্যাত সংগীত পরিচালক হয়েছেন। জয় করেছেন অস্কার। কিছুদিন আগে বাংলাদেশে তিনি আলোচনায় ছিলেন একটি গানের সূত্রে। ব্যক্তিগত জীবনে লাজুক স্বভাবের এই শিল্পী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খুব বেশি সক্রিয় নন। তবু মাঝেমধ্যে বিভিন্ন ছবি শেয়ার করে নিজের অবস্থান জানান। আজ এই তারকার জন্মদিন। জন্মদিনে চলুন দেখে নিই তাঁর দুর্লভ কিছু ছবি

বাবা তামিল সংগীত পরিচালক আর কে শেখর
ফেসবুক
মা গৃহবধূ কস্তুরি দেবী
১৯৬৭ সালের ৬ জানুয়ারি জন্মেছিলেন এ এস দিলীপ কুমার নামে
বাবা সংগীত পরিচালক হলেও বাবার কাছ থেকে সংগীত শিক্ষা নেওয়ার খুব বেশি সুযোগ পাননি
তিনি বলেছিলেন, ১১ বছর বয়স থেকেই অনেকে আমাকে চিনত। আমার কাজ ছিল ফরমায়েশি ফিল্মি গান কি-বোর্ডে বাজানো
তাঁকে দক্ষিণ ভারতের মানুষ ডাকে ‘দ্য মোৎ​সার্ট অব মাদ্রাজ’ নামে। রজনীকান্তের কাছাকাছি তাঁর জনপ্রিয়তা
১৯৯২ সালে মনি রত্নম পরিচালিত তামিল ছবি ‘রোজা’ মুক্তির পর পুরো সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি নড়েচড়ে বসে, কে এই মিউজিশিয়ান
তিনি এ আর রাহমান। অস্কার জেতার পর ভারত, বাংলাদেশসহ বিশ্ববাসীর হৃদয়ে সুরের মাধ্যমে নিজের জন্য পোক্ত আসন পেতে ফেলেছেন
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে বলিউডে তৈরি হিন্দি ছবি ‘পিপ্পা’য় ব্যবহৃত হয় কাজী নজরুল ইসলামের ‘কারার ঐ লৌহ–কবাট’ গানটি। আর এ গানের রিমেকের সুর দেন এ আর রাহমান।
১৯৯২ সালে তামিল পরিচালক মণিরত্নম একটি কফির বিজ্ঞাপনের জিঙ্গলসে সুর দিয়ে মাতিয়ে দেওয়া ২৫ বছর বয়সী ছেলেটিকে সুযোগ দিলেন তাঁর ‘রোজা’ ছবির সংগীত পরিচালনা
এ আর রাহমান তাঁর স্মৃতিচারণায় বলেন, মিউজিকের জন্য ততটা পাগল ছিলাম না, যতটা ছিলাম টেকনোলজির প্রতি। ঘটনাচক্রে মিউজিক ও টেকনোলজি উভয়ের সম্মিলন হয় সিনথেসাইজারের মাধ্যমে।
এ আর রাহমান আসলে সুরকার নয়, কৈশোরে হতে চেয়েছিলেন ইলেকট্রনিকস অথবা কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার
কানাডার মারখামের একটি রাস্তার নামকরণ করা হয়েছে তাঁর নামে ২০১৩ সালের নভেম্বর মাস থেকে।