মার্কিন রক সংগীতের অন্যতম পথিকৃৎ ও পিয়ানোবাদক জেরি লি লুইস মারা গেছেন। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপিতে ‘গ্রেট বলস অব ফায়ার’খ্যাত এই গায়ক ৮৭ বছর বয়সে মারা যান। খবর রয়টার্সের
গত বুধবার মৃত্যুর খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। পরে দুঃখ প্রকাশ করে খবরটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। তবে শুক্রবার গায়কের প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সত্যি সত্যি এই কিংবদন্তি শিল্পীর মৃত্যু হয়েছে। ২০১৯ সালে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়ার পর থেকেই ভালো যাচ্ছিল না লুইসের। মৃত্যুর সময় তাঁর স্ত্রী জুডিথ গায়কের পাশেই ছিলেন।
জেরি লি লুইস ছিলেন মার্কিন রক ‘এন’ রোল পথিকৃৎদের মধ্যে বেঁচে থাকা শেষ ব্যক্তি। গত শতকের অন্যতম প্রভাব বিস্তারকারী পিয়ানোবাদক ছিলেন তিনি।
চাক বেরির গিটারের মতো লুইসের পিয়ানো ১৯৫০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে রক এন রোলে অপরিহার্য ছিল। তিনি টেনেসির সান রেকর্ডস ট্যালেন্টপুলের অংশ ছিলেন, যার মধ্যে এলভিস প্রিসলি, জনি ক্যাশ, কার্ল পারকিন্স ও রয় অরবিসন অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। লুইস তাঁদের সবাইকে ছাড়িয়ে যান।
জেরি লি লুইস ১৯৮৬ সালে রক এন রোল হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত হওয়া প্রথম শিল্পীদের মধ্যে একজন। তিনি এতটাই প্রভাবশালী ছিলেন যে যখন জন লেনন লস অ্যাঞ্জেলেসের একটি শোতে মঞ্চের নেপথ্যে তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলেন, তখন ‘দ্য বিটল’ লুইসের পায়ে চুম্বন করেন।
১৯৩৫ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর লুইজিয়ানায় জন্ম হয় লুইসের। চার বছর বয়সে পিয়ানোতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। লুইস পরে টেনেসিতে চলে যান, যেখানে তিনি সান স্টুডিওতে স্টুডিও সংগীতশিল্পী হিসেবে কাজ পান।
ক্যারিয়ারে যেমন খ্যাতি পেয়েছেন, তেমনি সারা জীবনে বিতর্ক তাঁর পিছু ছাড়েনি।
১৩ বছর বয়সী চাচাতো বোন মাইরা গ্যাল ব্রাউনকে বিয়ে করে প্রথম বিতর্কের জন্ম দেন। এ ঘটনা তাঁর সংগীত ক্যারিয়ারকে বড় ধাক্কা দেয়। পরে ঠিকই ফিরে আসেন তিনি।
আজীবন সম্মাননাসহ চারটি গ্র্যামি পুরস্কার জেতেন লুইস। তাঁর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন সংগীতশিল্পী, তাঁর ভক্ত–শ্রোতাসহ সংগীতপ্রেমীরা।