ছিলেন ক্রীড়া সাংবাদিক। পরে সাংবাদিকতা ছেড়ে হয়ে যান ব্যাংকার। নামের সঙ্গে যুক্ত হয় আরও দুই পরিচয়—গায়ক ও গীতিকার। দেরিতে হলেও গান নিয়ে দর্শক-শ্রোতার সামনে হাজির হয়েছেন এম জেড মিন্টু। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে ‘ভবঘুরে কবি’ শিরোনামের একটি গান।
গত ঈদেই মিন্টুর দুটি গান মুক্তি পায়—একটি নিজের কণ্ঠে, অন্যটি গেয়েছেন রাজু মণ্ডল। ‘মাটির বাক্স’ শিরোনামে রাজু মণ্ডলের গানটি দেহতত্ত্ব নিয়ে। নিজের কণ্ঠে গাওয়া গানটির প্রথম কয়েকটি লাইন এমন, ‘দেয়ালে দেয়ালে পোস্টারিং/ রাজপথে মিছিল মিটিং/ অনশন করব শহীদ মিনারে/ ভালোবাসবে না যত দিন/ আমার এক দফা এক দাবি/ তোমাকেই চাই/ চলবেই আন্দোলন/ যত দিন তোমাকে না পাই।’
এম জেড মিন্টুর পুরো নাম মনিরুজ্জামান মিন্টু। কবিতা ও গান লেখার চেষ্টা স্কুলজীবন থেকেই। দেশের জাতীয় দৈনিক ও সাময়িকীতে ছাত্র অবস্থায় কবিতা ছাপা হতো। তখন নিজের লেখা গান নিয়ে অনেক দৌড়ঝাঁপ করেছেন স্টুডিওপাড়ায়। সাফল্য বলতে ছিল তিনটি গান ক্যাসেটবন্দী হওয়া।
দীর্ঘ বিরতির পর নিজের কণ্ঠে, কাব্যিক কথায়, ভিন্ন ধরনের উপস্থাপনায় ‘তোরা গ্রামে চলে আয়’ শিরোনামে গান প্রকাশ করেন।
এরপর ‘পদ্মা সেতু দিয়ে যাব ঢাকা’, ‘আমার প্রিয়া হারাল কোথায়’ গানগুলো মুক্তি পায়। গত ফুটবল বিশ্বকাপ নিয়েও গান করেছেন তিনি। গানটির মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করে প্রচার করে একটি বেসরকারি টেলিভিশন।
গানটি নিয়ে এম জেড মিন্টু বলেন, ‘এটা আমার ছোট্ট শিল্পীজীবনে অনেক বড় একটি পাওয়া। এতে নিজের আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়েছে।’
মিন্টু এখন রাজু মণ্ডলকে নিয়ে একটি নতুন গানের কাজ করছেন। গানটি শিগগিরই আমার গান এমএমএস ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পাবে।