অর্থকষ্টে দিন কাটিয়েছেন এই বিটিএস তারকা, এখন সম্পদ ২৭০ কোটি

বিটিএসের সদস্য হিসেবে বিশ্বজুড়ে পরিচিতি পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার তরুণ গায়ক সুগা। অর্থবিত্ত ও খ্যাতির চূড়ায় নিজেকে নিয়েছেন সুগা। জন্মদিনে তাঁর জীবনে আলো ফেলা যাক।
এখন কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ উপার্জন করেন সুগা। তবে একসময় নিদারুণ অর্থকষ্টে দিন কাটিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ডেগু শহরে জন্ম নেওয়া এই শিল্পী। ২০১৭ সালে বিটিএস কামব্যাক শোতে বলেছিলেন, এক বেলা খেয়ে তাঁর হাতে আর বাসভাড়া থাকত না
ছবি: ইনস্টাগ্রাম
নিজের পরিশ্রমেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন সুগা। ১৩ বছর বয়স থেকেই গান লিখতেন। তবে পরিবারের সমর্থন পাননি। সুগার গানের খাতা বহুবার বাইরে ফেলে দিয়েছেন বাবা–মা। সুগার বাবা–মা চাইতেন, ছেলে সরকারি চাকরি করবে
তবে সুগা শিল্পীই হতে চেয়েছেন। ডেগু শহরেই একটি স্টুডিওতে কাজ করতে থাকেন। পরে বিটিএসে শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজের সুযোগ পান। ভাগ্যবদলের আশায় প্রতি সপ্তাহে লটারির টিকিটও কিনতেন সুগা, তবে লটারি সুগার ভাগ্য ফেরাতে পারেনি
বিটিএসে শিক্ষানবিশ হিসেবে তেমন কোনো অর্থ পেতেন না। পড়াশোনার খরচ জোগাতে ডেলিভ্যারি ম্যান হিসেবে কাজ করেছেন সুগা। ২০১২ সালের দিকে এক সড়ক দুর্ঘটনায় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন, তখন টিউশন ফি বাকি পড়েছিল। বিটিএসের তরফ থেকে সেই ফি দেওয়া হয়েছিল
২০১৩ সাল থেকে বিটিএসের সদস্য হিসেবে যাত্রা শুরু করেন। এরপরই সুগার দিন বদলাতে থাকে। দুনিয়াজোড়া পরিচিতির পাশাপাশি কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ উপার্জন করেছেন। বিটিএসের সবচেয়ে ধনী শিল্পীদের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন ৩১ বছর বয়সী এই তারকা। তাঁর এখন মোট সম্পদের পরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৭০ কোটি টাকার বেশি