গায়ক এস ডি রুবেল আওয়ামী লীগের রাজনীতিতেও সক্রিয়। বিভিন্ন সভা সমাবেশ ও সেমিনারে তাঁকে দেখা যায়। এবার সংগ্রহ করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোননয়পত্র। ঢাকা ৮ আসন থেকে সংগ্রহ করা এই মনোনয়নপত্র এরই মধ্যে জমাও দিয়েছেন তিনি। প্রথম আলোকে মনোনয়পত্র সংগ্রহ ও জমাদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এস ডি রুবেল।
এস ডি রুবেল জানালেন, সোমবার মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন, গতকাল মঙ্গলবার জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র নেওয়ার কারণ হিসেবে বললেন, ‘মোদ্দাকথা হচ্ছে, আমি দীর্ঘদিন ধরে সমাজকল্যাণমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত আছি। দেশাত্মবোধক গান তো দেশের সব শিল্পীই কমবেশি করেন, কিন্তু আমি শিশু অধিকার, অ্যাসিড–সন্ত্রাস, এইডস সচেতনতার মতো কাজে ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই জড়িত ছিলাম। ক্যারিয়ারের প্রথম দিকে ‘কেউ নেই’ অ্যালবামে শিশু অধিকার নিয়ে গান করেছি। তার মানে আমার উদ্দেশ্য ছিল, আমি বাঙালি সমাজের যত অনৈতিকতা ও অনাচার, এসবের বিরুদ্ধে কথা বলে সুস্থ সমাজ তৈরি করার চেষ্টা করেছি। এখন আমি মনে করেছি, যেহেতু দীর্ঘদিন সমাজকল্যাণমূলক কাজ করেছি, বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যদি সমাজসেবা করার সুযোগ পাই, তাহলে আমি অন্তত একজন নৈতিকতাসম্পন্ন শিল্পী হিসেবে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় সরকারের সহযোগিতা পৌঁছে দিতে পারব। এই কারণে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছি।’
কোন ভাবনাচিন্তা থেকে সংসদ সদস্য হওয়ার দৌড়ে শামিল হয়েছেন, জানতে চাইলে এস ডি রুবেল বলেন, ‘সমাজের পিছিয়ে পড়া ও বঞ্চিত মানুষকে সঠিক পথে এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব একজন রাজনীতিবিদ পালন করতে পারেন। শিল্পীর পাশাপাশি একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে আমি সেই কাজটাই করতে চাই। তাই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছি।’
সমাজের কোন ক্ষেত্রের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে নিয়ে কাজ করতে চান, এমন প্রশ্নে এস ডি রুবেল বলেন, ‘আসলে সামাজিকভাবে যারা পিছিয়ে পড়েছে, যাদের যোগ্যতা আছে, কিন্তু সুযোগ পাচ্ছে না। কিংবা যাদের সঠিক রাস্তার দরকার তার জীবনের সাফল্যের জন্য কিংবা অবহেলিত জনগোষ্ঠীর জন্য সার্বিকভাবে যে সমস্যাগুলো আছে, এটা একটা উন্নয়নশীল দেশে থাকতেই পারে, সেই সমস্যাগুলো নিয়ে আসলে কাজ করতে চাই। সেটা যে সেক্টরেই হোক, আমি প্রতিটি সেক্টরে যারা পিছিয়ে পড়া মানুষ, সুযোগ বঞ্চিত মানুষ, তাদের নিয়ে পথ দেখানোর কাজটা করতে চাই।’
গায়ক এস ডি রুবেলের জন্মস্থান চাঁদপুরের শাহরাস্তি। রুবেল দাবি করেন, চাঁদপুর সরকারি কলেজে এইচএসসির শিক্ষার্থী থাকার সময় ছাত্রলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে নির্বাচন করেছিলেন। গানের টানে তিন দশক ধরে ঢাকায় আছেন তিনি।
চাঁদপুর শাহরাস্তি থেকে মনোনয়নপত্র না নিয়ে ঢাকা ৮ থেকে নেওয়া প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি ৩০ বছর ধরে ঢাকার ভোটার। ১৯৯৭–এ বাবা মারা যায়। বাবার মৃত্যুর পর থেকেই আমি পুরোদমে ঢাকামুখী। জন্মস্থান চাঁদপুরের প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, যেহেতু এখন ঢাকার এই জায়গাতে বসবাস করি, ৯৯ ভাগ সময় ঢাকায় থাকি, আমার কাছে মনে হয়, এই অঞ্চলে যদি কাজ করার সুযোগ পাই, আমি আমার সময়ের পুরোটাই দিতে পারব।’