‘তোমার জংলা পাড়ের ঢাকেশ্বরী শাড়ি/তোমার পিসিচন্দ্রের ঝুমকো কানের দুল, আজ ১২ই মে তাই সকাল থেকে/জন্মদিনের তোড়া তোড়া ফুল, তোমার সানন্দার পাতা থেকে ছিঁড়ে নেয়া রেনী পার্কের সংসার/তোমার স্বামী আজ অনেক দিনের পরে তোমার ঘরে নিয়ে হাজার বিদেশি উপহার/এই শুভ দিনে নানান কাজের ফাঁকে পড়ছে কি মনে তোমার, এই ১২ই মে তুমি চলে গিয়ে ছিলে জীবন থেকে আমার।’
পশ্চিমবঙ্গের গায়ক অঞ্জন দত্তর ভক্তমাত্রই জানেন ১২ মে দিনটার মাহাত্ম্য, আজ গায়কের গানের অন্যতম জনপ্রিয় চরিত্র ‘মালা’র জন্মদিন। এর ঠিক ১ দিন আগে ১১ মে গান গাইতে ঢাকায় এসেছিলেন অঞ্জন। গানে গানে ‘মালা’র কথা স্মরণ তো হলোই, সঙ্গে হলো ‘মালা’র অগ্রিম জন্মদিন উদ্যাপনও।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় ‘অঞ্জন দত্ত মেট্রোপলিস ভলিউম-২.০’ নামে ওই কনসার্ট হয় পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে-সংলগ্ন ৩০০ ফিটের ঢাকা অ্যারেনায়।
অঞ্জনকে নিয়ে এই কনসার্টের আয়োজন করেছে যৌথভাবে অ্যাসেন, জির্কুনিয়ামি ও আর্কলাইট ইভেন্টস।
রাত ৮টা ৫০ মিনিটে তুমুল করতালির মধ্যে মঞ্চে আসেন অঞ্জন দত্ত। সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে গেয়ে ওঠেন ‘এই পোড়া শহরে’। এরপর একে একে গেয়ে শোনান ‘ম্যারিয়ান’, ‘বেলা বোস’, ‘খাদের ধারের রেলিংটা’, ‘রঞ্জনা’, ‘আমি বৃষ্টি দেখেছি’।
তবে মাঝেমধ্যেই দর্শক একটু অধৈর্য হয়ে ওঠেন, দর্শকসারি থেকে ভেসে আসা ‘মালা’, ‘মালা’ চিৎকার। গায়েকর কণ্ঠে ‘মালা’ গান শুনতে তাঁরা যে কতটা মরিয়া, এতেই বোঝা যায়। অঞ্জনও শ্রোতাদের আরেকটু অপেক্ষায় রাখতে চাইলেন। অনেক দর্শক যখন ‘মালা’, ‘মালা’ চিৎকার করছেন, গায়ক তখন স্বভাবসুলভ রসিকতায় বলে ওঠেন, ‘“মালা”, “মালা”; আরে হবে তো! আমি কি কালা?’
শেষে অঞ্জন যখন ‘তোমার জংলা পাড়ের ঢাকেশ্বরী শাড়ি’ গেয়ে ওঠেন, মাঠে হাজির দর্শকেরা গলা মেলাতে দেরি করেন না।
গান শেষে চমক তখনো বাকি ছিল। আয়োজকদের পক্ষ থেকে মঞ্চে নিয়ে আসা হয় বড় একটা কেক। অঞ্জন নিজে কেক কেটে ‘মালা’র আগাম জন্মদিন পালন করেন।