এলটন জন। রয়টার্স
এলটন জন। রয়টার্স

দৃষ্টি হারালেন এলটন জন

দৃষ্টিশক্তি হারালেন ব্রিটিশ গায়ক এলটন জন। সংক্রমণের কারণে একটি চোখ পুরোপুরি দৃষ্টিশক্তিহীন হয়ে পড়েছে। অন্যটিও ঝাপসা। রোববার লন্ডনে অনুষ্ঠিত ‘দ্য ডেভিল ওয়্যারস প্রাডা: মিউজিক্যাল’–এর প্রিমিয়ারের পর নিজের অসুস্থতা নিয়ে মুখ খোলেন গায়ক। বক্তব্য দেওয়ার সময় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন ৭৭ বছর বয়সী জন।
প্রিয় শ্রোতাদের সঙ্গে নিজের জীবনের ভয়ংকর অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন তিনি।

বলেন, ‘আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন, অনেক দিন ধরে আমার চোখে কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছে এবং তার জন্য আমি আমার দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছি। আমি আমার নিজের পরিবেশনা দেখতে পারিনি ঠিকই, কিন্তু শুনে উপভোগ করেছি। এই কঠিন সময়ে আমার পাশে সব সময় ছিলেন সঙ্গী ডেভিড ফার্নিশ ও পরিবার। তাঁরা সব সময় মানসিকভাবে সাহায্য করেছেন এবং আমার দেখাশোনা করছেন। একটি গুরুতর সংক্রমণের কারণে আমার চোখের দৃষ্টি এখন একেবারেই শেষ হয়ে গেছে। আমি কিছুই পড়তে পারছি না, কিছুই দেখতে পাচ্ছি না।’

তবে দৃষ্টিশক্তি ফেরাতে চিকিৎসা চলছে জনপ্রিয় এই গায়কের। আগের অবস্থায় ফিরতে অনেক ধৈর্য এবং সময়ের প্রয়োজন। যদিও দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী জন। আর জনের এই মনোবলের প্রশংসা করেছেন ভক্তরা। দৃষ্টিশক্তি হারানোর পরও জন যেভাবে নিজের শিল্প সত্তাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন, সেটি দেখে অভিভূত শ্রোতারা।
ভালোবাসার সম্পর্ক এবং বিচ্ছেদ নিয়ে লেখা ‘স্যাক্রিফাইস’ গানটি দিয়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠেছিলেন এলটন জন।

২০১৪ সালে বিয়ে করেন ডেভিড ফার্নিশকে। এলটন জন প্রিন্সেস ডায়ানারও খুব ভালো বন্ধু ছিলেন। কঠিন সময়ে একে অন্যের পাশে ছিলেন। ডায়ানার শেষকৃত্যের সময় জনের ‘ক্যান্ডেল ইন দ্য উইন্ড’ গানটি নাড়া দিয়েছিল ব্রিটেনসহ পুরো বিশ্বের ডায়ানা-জন ভক্তদের। গানটি এখনো গেঁথে আছে কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে।

পাশাপাশি ‘নিকিতা’, ‘ব্লু আইস’, ‘আই এম স্টিল স্ট্যান্ডিং’, ‘রকেট ম্যান’, ‘কোল্ড হার্ট’, ‘গুডবাই ইয়েলো ব্রিক রোড’, ‘মেরি ক্রিসমাস’সহ অনেক গান এলটনকে পৌঁছে দিয়েছে শ্রোতাদের খুব কাছে।