গান বাংলা চ্যানেলের চেয়ারম্যান কৌশিক হোসেন তাপস গত রোববার রাতে গ্রেপ্তার হন। গ্রেপ্তারের পর তাঁকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। এদিকে তাপসের গ্রেপ্তারের পর তাঁকে নিয়ে কথা বললেন সংগীত শিল্পী ফাতিমা তুয যাহরা ঐশী।
ফেসবুক পোস্টে তাপসকে অরাজনৈতিক দাবি করেছেন ঐশী। বলেছেন, ‘তিনি (কৌশিক হোসেন তাপস) তো রাজনৈতিক কেউ ছিলেন না। সাংস্কৃতিক লোককে রাজনৈতিক বানায় দিলেন প্রতিহিংসার জেরে। মিউজিক নিয়ে এত অ্যাগ্রেসিভ কাউকে আমি দেখিনি। বরং মিউজিকের নামে...করতে অনেককেই দেখলাম। সেই মানুষগুলাকে আবার বড় গলায় কথাও বলতে দেখি। সত্যকে জেতাতে চাইলে সঠিক তথ্য বের করে উপস্থাপন করেন মানুষের সামনে, যদি সাহস থাকে। সব রহস্য উন্মোচন করে দেন। সবাই জানুক সত্যটা কী! ভিত্তিহীন মজা তো বহুত নিলেন।’
হত্যাচেষ্টা মামলায় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল গান বাংলার চেয়ারম্যান কৌশিক হোসেন তাপসকে গ্রেপ্তার করেছে উত্তরা পূর্ব থানার পুলিশ। গতকাল রোববার দিবাগত রাত ১২টার পর ডিবি পুলিশের সহায়তায় ভাটারা থানাধীন গান বাংলা চ্যানেল কার্যালয়ের সামনে থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার তাপসকে গ্রেপ্তারের খবরটি নিশ্চিত করেছেন উত্তরা পূর্ব থানার উপপরিদর্শক মোহাম্মদ লিটন।
গায়িকা ঐশী তাঁর সংগীতজীবনে তাপসের অবদানের কথা বিভিন্ন সময় স্বীকার করেছেন। তাপসের গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ছোট জীবনে কত কিছু দেখলাম। অন্যায় করে দিনের পর দিন রাজার হালে পার করতে দেখলাম, আবার নিরপরাধকে কারাগারে যেতেও দেখলাম। আমি তাপস ভাইয়াকে চিনি ঠিক দশ বছর। এই দশ বছরে আমি তাকে শুধু গান নিয়ে বড় বড় স্বপ্ন দেখতে দেখেছি। একা না দেখে মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছেন তিনি। সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগে সংগীতাঙ্গন বদলানোর ইচ্ছা পোষণ করার মতো পাগলামি কেউ করে? এটাই ওনার ভুল ছিল।’
‘নিজাম উদ্দিন আউলিয়া’, ‘রঙে রঙে দুনিয়া’, ‘দুষ্টু পোলাপাইন’, ‘দুই কূলে সুলতান’-এর মতো গানগুলো দিয়ে শ্রোতামহলে পরিচিতি পেয়েছেন ঐশী। ২০০০ সালে রংপুর শিশু একাডেমিতে গান শেখা শুরু করেন তিনি। ২০০৩ সালে নোয়াখালীতে মুহাম্মদ শরীফ ও পরে হাফিজ উদ্দীন বাহারের কাছে উচ্চাঙ্গ ও নজরুলসংগীতে তালিম নেন। ‘মায়া: দ্য লস্ট মাদার’ সিনেমার ‘মায়া’ গানটির জন্য ২০২০ সালে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।