শুক্রবার থেকে ঢাকার গুলশান সোসাইটি লেক পার্কে দুই দিনব্যাপী তৃতীয় নজরুল উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ নজরুলসংগীত সংস্থা, গুলশান সোসাইটি ও ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টার এই উৎসবের উদ্যোক্তা। উৎসবের উদ্বোধন করবেন সমাজ কল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি।
অনুষ্ঠানে থাকবে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের গান, কবিতার আবৃত্তি ও রচনার ভিত্তিতে নৃত্য। খায়রুল আনাম শাকিল, ইয়াসমিন মুশতারী, নাশিদ কামাল, ফেরদৌস আরাসহ বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় নজরুলসংগীতের শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করবেন। ভারত থেকে আসবেন মনোময় ভট্টাচার্য, রাঘব চট্টোপাধ্যায়, পণ্ডিত তুষার দত্ত, শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায়, পায়েল কর, দেবারতি চক্রবর্তী। এ ছাড়া সারা বাংলাদেশ থেকে আগত শিল্পীরাও সংগীত পরিবেশন করবেন। বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনি মিলনায়তনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সব সৃষ্টিকর্ম সাধারণ মানুষের কাছে শুদ্ধভাবে পৌঁছে দেওয়া সময়ের জরুরি দাবি জানিয়ে উৎসবের আহ্বায়ক খায়রুল আনাম শাকিল বলেন, ‘শুদ্ধ সুর ও বাণীতে নজরুলসংগীত প্রচারের জন্য সাংবাৎসরিক ও চলমান যে বিশাল কার্যক্রম আমরা হাতে নিয়েছি, তার সঙ্গে বৃহত্তর জনসমাজের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য আমরা প্রতিবছর নজরুল উৎসবের আয়োজন করি। আমাদের উদ্দেশ্য, এই উৎসবের মাধ্যমে আমাদের প্রিয় কবির আদর্শ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে নতুন প্রজন্মের মাঝে প্রসারিত ও বিকশিত করা।’
এবারের উৎসবের মূল পৃষ্ঠপোষক শান্তা হোল্ডিংসের প্রধান নির্বাহী এম হাবিবুল বাসিত বলেন, ‘এ রকম একটা ভালো উদ্যোগকে সাহায্য করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সাহিত্য ও সংগীতকে রক্ষা করা আমাদের সবার দায়িত্ব। দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় নির্মাণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে শান্তা হোল্ডিংস সামাজিক কল্যাণ ও সংস্কৃতির উন্নয়নের ব্যাপারে নিজের দায়িত্বকে গভীর গুরুত্ব দেয়।’
প্রতিবারের মতো এবারও উৎসবে শুদ্ধ সুর ও বাণীতে গীত ১২৫টি নজরুলের গান আনুষ্ঠানিকভাবে ইউটিউবে সবার জন্য অবারিত করা হবে। পেশাদার যন্ত্রানুষঙ্গসহ রেকর্ড করা এসব গানে কণ্ঠ দিয়েছেন বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া উত্তর আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থিত কণ্ঠশিল্পীরাও।