কানাডার টরন্টোতে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় চিকিৎসাধীন বাংলাদেশি সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের ছেলে নিবিড় কুমারের অবস্থা সংকটাপন্ন। দুর্ঘটনায় তাঁর শরীরের কিছু অংশ পুড়েও গেছে। আহত নিবিড়কে টরন্টোর একটি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। কুমার বিশ্বজিতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আহত নিবিড়ের শরীরে একটি অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। আরও দুটি অস্ত্রোপচার করতে হবে। পরের দুটি অস্ত্রোপচারের ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
এদিকে ছেলের দুর্ঘটনার খবর শুনে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতেই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসে চড়ে কুমার বিশ্বজিৎ ও তাঁর স্ত্রী নাঈমা সুলতানা কানাডার উদ্দেশে বাংলাদেশ ছেড়েছেন। আজ কানাডার স্থানীয় সময় সকাল ১০ টা ১৫ মিনিটে তাঁদের সেখানে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। যাওয়ার আগে ছেলে নিবিড়ের পরিপূর্ণ সুস্থতার জন্য ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রার্থনা করার অনুরোধ করেছেন দেশবরেণ্য সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রথম অস্ত্রোপচার শেষে নিবিড় কুমারকে ১৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রেখেছেন হাসপাতালের চিকিৎসকেরা।
মর্মান্তিক এই সড়ক দুর্ঘটনায় নিবিড় কুমার আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকলেও একই দুর্ঘটনায় তিন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় গত সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় নিবিড় চালকের আসনে ছিলেন। খবর সিবিসি নিউজের। কানাডার প্রবাসী বাংলাদেশিরা বলছেন, নিহত তিন শিক্ষার্থী হলেন শাহরিয়ার খান, অ্যাঞ্জেলা বাড়ৈ, আরিয়ান দীপ্ত। তবে কানাডার পুলিশ বা দেশটির গণমাধ্যম হতাহত শিক্ষার্থীদের কোনো নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি।
অন্টারিও প্রাদেশিক পুলিশ (ওপিপি) জানায়, টরন্টোর হাইওয়ে ৪২৭-এর দুনদাস স্ট্রিট ওয়েস্টে একটি গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হয়। এ সময় গাড়িটি অতিরিক্ত গতিতে চলছিল। সড়ক বিভাজকে ধাক্কা খেয়ে গাড়িটি উল্টে আগুন ধরে যায়। দুর্ঘটনার সময় গাড়িতে চারজন আরোহী ছিলেন। তাঁরা সবাই বাংলাদেশি। শিক্ষার্থী ভিসায় তাঁরা টরন্টোয় অবস্থান করছিলেন বলে সেখানকার পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে একজন নারী রয়েছেন। তাঁর বয়স ২০ বছর। অন্য দুজনের বয়স ২০ ও ১৭ বছর। আর আহত শিক্ষার্থীর বয়স ২১ বছর। তিনিই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে।