মাত্র ১৮ বছর বয়সে বিশ্বজুড়ে খ্যাতি পাওয়া। পরের দশক ধরে বিশ্বসংগীতে চলছে তাঁর দাপট। এরপর সম্পর্ক নিয়ে টানাপোড়েন, বিষণ্নতায় চলে যাওয়া। আদালতের নির্দেশে বাবার অভিভাবকত্বে আশ্রয়ে ফিরে যাওয়া। সেই অভিভাবকত্ব নিয়ে অসন্তোষ, বাবার সঙ্গে সম্পর্কে ফাটল। অতঃপর আদালতে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর বাবার অভিভাবকত্ব থেকে মুক্তি পাওয়া। সব মিলিয়ে ঘটনাবহুল ব্রিটনি স্পিয়ার্সের জীবন। এমন একজন যখন আত্মজীবনী লিখবেন, স্বভাবতই ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হবে। হয়েছেও তাই। চলতি বছরের এপ্রিলে যখন আত্মজীবনী লেখার কথা ব্রিটনি নিশ্চিত করেন, তখন থেকেই ভক্তরা অপেক্ষা করছেন। অবশেষে জানা গেল, বহুল প্রতীক্ষিত বইটি লেখা শেষ করেছেন তিনি। তবে হাতে পেতে আরও কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, প্রবল লড়াইয়ের পর ১৫ মিলিয়ন ডলারে ব্রিটনির আত্মজীবনীর স্বত্ব পেয়েছে প্রকাশনা সংস্থা সাইমন অ্যান্ড শুস্টার, যা যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশনার ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অঙ্কের চুক্তি। আগে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা রেকর্ড ৬০ মিলিয়ন ডলারে পেঙ্গুইন র্যানডম হাউসের সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন।
লেখা শেষ হলেও ব্রিটনির আত্মজীবনী প্রকাশে দেরি হওয়ার মূল কারণ কাগজসংকট। মার্কিন গণমাধ্যম টিএমজেডকে প্রকাশনা সূত্র জানিয়েছে, ছাপার কাগজের সংকটের কারণেই বইটি প্রকাশ করা যাচ্ছে না। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশনা সংস্থার সঙ্গে চুক্তির সময় জানা গিয়েছিল, আগামী বছরের জানুয়ারিতেই আত্মজীবনী বাজারে আসবে। তবে এখন আশঙ্কা করা হচ্ছে, এটি অন্তত কয়েক মাস পিছিয়ে যাবে। তবে কবে নাগাদ বইটি আসতে পারে, তা নিয়ে কোনো ধারণা পাওয়া যায়নি।
নিজের আত্মজীবনী নিয়ে গত এপ্রিলে গায়িকা বলেছিলেন, ‘বইটি লেখা আমার জন্য থেরাপি নেওয়ার মতোই অভিজ্ঞতা। তবে অতীতের নানা ঘটনা একসঙ্গে জোড়া দেওয়াই মুশকিল...যেসব ঘটনা নিয়ে কখনোই প্রকাশ্যে বলতে পারিনি।’ জানা গেছে, বইটিতে গায়িকার ছোটবেলা থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা স্থান পাবে।