দিনটিতে যদি ঢাকায় থাকতে পারতাম : গুলজার

বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতেও অনেক গান করেছেন রুনা লায়লা, অনেকের সঙ্গেই তৈরি হয়েছে সম্পর্ক। ভারতে গেলে তাঁদের সঙ্গে যেমন দেখা হয়, তাঁরাও বাংলাদেশে এলে রুনা লায়লার অতিথি হন। শিল্পীর ৭০ তম জন্মদিনে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের প্রখ্যাত গীতিকবি ও পরিচালক গুলজার
রুনা লায়লার ঢাকার বাড়িতে গুলজার
রুনা লায়লার ঢাকার বাড়িতে গুলজার

৭০ তম জন্মদিনে আমার খুব ইচ্ছা হচ্ছে, দিনটিতে যদি ঢাকায় থাকতে পারতাম, রুনাজির জন্মদিন উদ্‌যাপন করতে পারতাম। কিন্তু তারপরও আমার শুভকামনা সব সময় ছিল, আছে এবং থাকবে।

দীর্ঘ সময়ের সুন্দর একটা সম্পর্ক আমাদের। আমার লেখা গান তিনি গেয়েছেন। কয়েক বছর আগে আমার ইচ্ছা হলো, তাঁকে নিয়ে একটি অ্যালবাম করব। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে এখন পর্যন্ত এটি হয়ে ওঠেনি।

রুনা লায়লার ঢাকার বাড়িতে গুলজার

কারণ, ওই সময়টায় তিনি গান গাওয়ার মতো অবস্থায় ছিলেন না। অসুস্থ ছিলেন, লন্ডনে চিকিৎসা করাচ্ছিলেন। পরে অবশ্য তাঁর জন্য একটি ঠুমরি লিখেছিলাম। ঠুমরিটা লিখেছিলাম বাংলা শব্দ ব্যবহার করে। কথাগুলো এ রকম ‘মেঘলা রাত ম্যায় শোয়ি নেহি, ম্যাঁ আওর তুম আউর কই নেহি’। আশা করছি, এটা আমরা রেকর্ড করব।

ঢাকার পাঁচতারা হোটেলে প্রথম আলোর ক্যামেরায় উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা

রুনাজির অনেক ভালোবাসার কথা আজ মনে পড়ছে। আমি তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছি। স্বামীর সঙ্গেও দেখা করেছি। পরিবারের অন্যদের সঙ্গেও দেখা হয়েছে, আড্ডা দিয়েছি, যখন ঢাকায় গিয়েছি। তাঁর সঙ্গে আমার স্মৃতি এখনো সতেজ, মনে হয় গতকালই যেন আমাদের দেখা হয়েছে। আবার যদি ঢাকায় যাওয়ার সুযোগ পাই, অবশ্যই রুনাজির সঙ্গে দেখা করব, তাঁকে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানিয়ে আসব। তার আগে আমার ভালোবাসাটা তাঁকে পাঠিয়ে দেবেন।

নিজ বাড়ির বেলকনিতে গুলজার

রুনা লায়লা অসাধারণ একজন শিল্পী। তাঁর সময়ের তিনি সেরা একজন শিল্পী। এখন পর্যন্ত তাঁর কণ্ঠ দ্যুতি ছড়াচ্ছে। জাদু ছড়াচ্ছে। তিনি এখন খুব কম গান করেন, আগের মতো গান না। মঞ্চে গাওয়ার আলাদা একটা স্টাইল তাঁর আছে, স্টাইলটা আমার ভীষণ পছন্দ। তিনি যেভাবে মঞ্চে গান করেন, দেখতে খুবই চমৎকার লাগে।