বর জাহেদ আহমেদের সঙ্গে গায়িকা আজমেরী নির্ঝর
বর জাহেদ আহমেদের সঙ্গে গায়িকা আজমেরী নির্ঝর

প্যারিস থেকে বিয়ের খবর জানালেন গায়িকা নির্ঝর

১৯ বছর আগে হাবিব ওয়াহিদের কম্পোজিশনে আশা ভোসলের গাওয়া ‘একটা দেশলাই কাঠি জ্বালাও’ গানটি নতুন করে গেয়ে শ্রোতাদের নজরে আসেন আজমেরী নির্ঝর। এরপর একে একে তাঁর বেশ কয়েকটি অ্যালবাম প্রকাশিত হয়। দেড় দশক আগের জনপ্রিয় গায়িকা ৯ বছর ধরে গানের বাইরে আছে। এখন থাকেন ফ্রান্সে। আজ শনিবার জানালেন, গতকাল শুক্রবার ফ্রান্সে পারিবারিক আয়োজনে বিয়ের কাজ সেরে নিয়েছেন তিনি। দুই পরিবারের ঘনিষ্ঠজনের উপস্থিতিতে তাঁদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতটা সম্পন্ন হয়েছে।

আজমেরী নির্ঝর

নির্ঝরের বরের নাম জাহেদ আহমেদ মামুন, তিনি ফ্রান্সের প্রবাসী বাঙালি ব্যবসায়ী। বিয়ে প্রসঙ্গে নির্ঝর ফ্রান্স থেকে প্রথম আলোকে বললেন, ‘কয়েক বছর ধরে এখানে কাজ নিয়ে খুব ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম। আমাদের এই বিয়ের ঘটকালি আমার কাজিনরা করেছেন। তাঁদের মাধ্যমে বিয়ের সবকিছু হয়েছে। কয়েক বছর ধরে পরিবার থেকেও বিয়ের জন্য চাপ ছিল। এবার যখন পারিবারিকভাবে বিয়ের উদ্যোগ নেওয়া হলো, তখন সম্মতি দিই। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, বিয়ে তো সারা জীবনের সিদ্ধান্ত। মনের মতো একজন মানুষের দেখা না পেলে সিদ্ধান্ত নেওয়াটা মুশকিল। আমাদের যখন পারিবারিকভাবে কথাবার্তা হচ্ছিল, সবকিছু মিলিয়ে মনে হয়েছে, এবার বিয়েতে সম্মতি দেওয়াই যায়।’

বর জাহেদ আহমেদের সঙ্গে গায়িকা আজমেরী নির্ঝর

কথা হয় নির্ঝরের বর জাহেদ আহমেদের সঙ্গেও। তিনি বললেন, ‘সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন, এটাও চাওয়া।

নজরুলসংগীত দিয়েই সংগীতজীবনের শুরু নির্ঝরের। পাঁচ বছর বয়স থেকে নজরুলসংগীতের তালিম নেন। ২০০৫ সালে হাবিব ওয়াহিদের কম্পোজিশনে আশা ভোসলের গাওয়া ‘একটা দেশলাই কাঠি জ্বালাও’ গানটি নতুন করে গেয়ে শ্রোতাদের নজরে আসেন নির্ঝর। পরপরই পড়াশোনার জন্য লন্ডন চলে যান। ইস্ট লন্ডন ইউনিভার্সিটি থেকে (বর্তমান মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি) এমবিএ এবং অক্সফোর্ড ব্রুকস থেকে এসিসিএ শেষ করে ২০১০ সালে দেশে ফেরেন। দেশে ফিরেই আবারও গান নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। হৃদয় খানের সুরে ‘জানি একদিন’ ও ‘আজকের এই নিশি’ গানগুলো নির্ঝরকে আবারও নতুন করে আলোচনায় নিয়ে আসে। আর শেষ একক অ্যালবাম ‘স্বপ্নমুখীর’ ‘আরাধনা’ গানটিও জনপ্রিয়তা পায়।

নির্ঝরের তিনটি আধুনিক গানের অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। এগুলো হচ্ছে ‘পোড়ামুখী’ (২০০৩), ‘সূর্যমুখী’ (২০০৫) ও ‘স্বপ্নমুখী’ (২০১২)।