ছবিতে মাকসুদের সংগীতজীবনের ৪৫ বছর উদ্‌যাপন

১৯৭৮ সালে ফিডব্যাকে যোগ দিয়েছিলেন মাকসুদ। তাঁর সংগীতজীবনের ৪৫ বছর পূর্তি হয়েছে চলতি বছর। শনিবার জমকালো আয়োজনে হয়ে গেল মাকসুদুল হকের সংগীতজীবনের ৪৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান—‘মাকসুদ—৪৫ ইয়ারস ইন মিউজিক কনসার্ট’। ঢাকার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সন্ধ্যায় শুরু হয় এ অনুষ্ঠান। ৪৫ বছরের সংগীতজীবন উদ্‌যাপনের এ অনুষ্ঠানে আয়োজকদের পক্ষ থেকে মাকসুদকে সম্মাননাও জানানো হয়। ছবিতে ছবিতে জেনে নেওয়া যাক অনুষ্ঠান সম্পর্কে কিছু তথ্য।
‘মাকসুদ—৪৫ ইয়ারস ইন মিউজিক কনসার্ট’ শুরু হয় মাকসুদুল হকের গাওয়া ‘ওই দূর থেকে দূরে’ গানটি পরিবেশনের মধ্য দিয়ে। এরপর একে একে তিনি গেয়ে শোনান ‘মৌসুমি’, ‘চিঠি’, ‘খুঁজি তোমাকে খুঁজি’, ‘হেসেখেলে এই মনটা আমার’, ‘কেন খুলেছ তোমার জানালা’ গানগুলো
শুভ্র কান্তি দাশ
মাকসুদের গানের পর তাঁর সম্মানে মঞ্চে গান পরিবেশন করতে ওঠে ব্যান্ড পেন্টাগন। এ আয়োজনে আরও গান শোনায় ব্যান্ডদল মাইলস, ফিডব্যাক ও দলছুট।
এ আয়োজন নিয়ে মাকসুদ বলেন, ‘একজন শিল্পীর জীবনে তাঁর কর্মজীবনের ৪৫ বছর খুব সহজে আসে না। কিন্তু আমার জীবনে এসেছে। ১৯৭৮ সালে আমি ফিডব্যাকে যোগ দিয়েছিলাম। সে হিসাবে এ বছর আমার ৪৫ বছর হয়েছে। সংগীতজীবনের এই ভ্রমণ এভাবে উদ্যাপনের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা’
পাওয়া না পাওয়ার এই জীবনে ৪৫ বছরের সংগীতজীবন নিয়ে সন্তুষ্ট বলে জানান মাকসুদুল হক। তিনি বলেন, ‘আমি এমনই একটা জীবন দেখতে চেয়েছিলাম। হয়তো আরেকটু বেশি পেতে পারতাম। কিন্তু সেটা হয়তো আমার নিজের কারণেই হয়নি। এটাও ঠিক, আমি অন্য দশজনের মতো গা ভাসিয়ে দিইনি। হয়তো কিছু নিয়মনীতি মেনে চলেছি, তা-ও হতে পারিনি। জীবনে অনেক কিছু হওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে, না হওয়ারও অনেক কারণ থাকতে পারে। যতটুকু হয়েছে, তাতে আমি সন্তুষ্ট’
‘মাকসুদ—৪৫ ইয়ারস ইন মিউজিক কনসার্ট’-এর উদ্যোক্তা আশীষ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘বাংলা গানে তরুণ প্রজন্মকে উৎসাহিত করতে এবং বিদেশি সংস্কৃতির আগ্রাসন থেকে মুক্তি পেতে এ ধরনের কনসার্টের প্রয়োজনীয়তা অনেক। একজন সংগীতশিল্পীর জীবনে ৪৫ বছর একটি বড় সময়। আমরা এই গুণী শিল্পীর বর্ণাঢ্য জীবনের আলোকিত অধ্যায় সবার সামনে তুলে ধরতে চেয়েছিলাম। তাই এ ধরনের উদ্যোগের কথা ভেবেছি’
‘মাকসুদ—৪৫ ইয়ারস ইন মিউজিক কনসার্ট’-এর উদ্যোক্তা ও ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশীষ কুমার চক্রবর্তী মাকসুদকে শুভেচ্ছা জানান
নিজের সংগীতজীবন নিয়ে প্রথম আলোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মাকসুদ বলেন, ‘আমি এই জীবনই দেখতে চেয়েছিলাম। হয়তো আরেকটু বেশি পেতে পারতাম। কিন্তু সেটা হয়তো আমার নিজের কারণেই হয়নি। এটাও ঠিক, আমি অন্য দশজনের মতো গা ভাসিয়ে দিইনি। হয়তো কিছু নিয়মনীতি মেনে চলেছি, তা-ও হতে পারিনি। জীবনে অনেক কিছু হওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে, না হওয়ারও অনেক কারণ থাকতে পারে। যতটুকু হয়েছে, তাতে আমি সন্তুষ্ট’
৪৫ বছরের সংগীতজীবন উদ্‌যাপনের এ অনুষ্ঠানে আয়োজকদের পক্ষ থেকে মাকসুদকে সম্মাননাও জানানো হয়