আইয়ুব বাচ্চু খুব অভিমানী মানুষ ছিলেন
আইয়ুব বাচ্চু খুব অভিমানী মানুষ ছিলেন

আইয়ুব বাচ্চু: রুপালি গিটার ফেলে হারিয়ে যাওয়া অভিমানী জাদুকর

সুউচ্চ কঠিন এক প্রাচীর! প্রাচীরের শেষ প্রান্তে এলাকার কলেজের যে বড় গেট, তা উপচে পড়ছে মানুষ! ভেতরে, কলেজের কম্পাউন্ডে হাজার হাজার ভক্ত-শ্রোতা উত্তাল স্রোতে যেন গর্জে উঠছে বারবার। এদিকে আমি পাহাড়সম দেয়ালে চড়তে উদ্‌গ্রীব! আমার হাত ছিলে যাচ্ছে, পায়ের হাঁটু দিয়ে ঝরছে রক্ত, কিন্তু বুকের হলুদ টি–শার্টটা যেন কোনোভাবে নষ্ট না হয়...নিজের হাতে যেখানে রং করেছিলাম ‘এলআরবি’!
অনেক কষ্টে প্রায় পাঁচ ফুট উঁচু দেয়ালটিতে যখন চড়লাম, দেখি, তার ওপর আবার কাঁটাতারের বেড়া! সেই বেড়ার দুই পাশে পা দিয়ে মাথা তুলে দাঁড়াতেই, এত দিন পর আমার মানসপটের বিমূর্ত ছবিগুলো যেন সত্যি হয়ে চোখের সামনে ধরা দিল! সপ্তম শ্রেণিতে পড়া সেই কিশোর আমি সেদিন ‘জীবন থেকে পালাবার’ মোহ নিয়েই বুঝি ঘরের দুয়ার পেরিয়েছিলাম। জীবনে প্রথম স্বপ্নের নায়ক যাঁকে মেনেছিলাম, যাঁর গান শুনে নিজের অজান্তেই যাঁকে গুরু মেনেছিলাম, তাঁকে একনজর দেখব বলে; পাঁচ ফুট দেয়ালের ওপর দাঁড়ানো আমার কিশোর শরীর তখন কাঁপছে। কারণ, আমার চোখের সামনে তখন আর কেউ নন, ছিলেন আমার জীবনের মহানায়ক, আইয়ুব বাচ্চু...
তাঁর কণ্ঠে ছিল শহীদ মাহমুদ জঙ্গীর লেখা সেই হৃদয় আকুল করা গান, ‘একদিন ঘুমভাঙা শহরে, মায়াবী সন্ধ্যায়,/ চাঁদজাগা এক রাতে,/ একটি কিশোর ছেলে একাকী স্বপ্ন দেখে,/ হাসি আর গানে, সুখের ছবি আঁকে।/...আহা কী যে সুখ...!’

আইয়ুব বাচ্চুকে ভালো লাগা, তাঁর গানকে প্রিয় বলে মেনে নেওয়া, আমাদের জীবনে যেন সেই পাহাড়সম দেয়াল পেরোনোর মতোই কঠিন ছিল! নব্বইয়ের দশকের শুরুতে তখনো ব্যান্ড সংগীতকে ধরা হচ্ছে অপসংস্কৃতি হিসেবে। বাড়ির চার দেয়ালে ব্যান্ডের গান শোনা রীতিমতো এক অপরাধ। অন্যদিকে ঢাকার মধ্যবিত্ত শ্রোতাদের মধ্যে আইয়ুব বাচ্চু তখনো যেন পুরোপুরি স্বস্তির নাম নয়! স্করপিয়নস, আইরন মেডেন কিংবা মেটালিকার মতো পাশ্চাত্যের বড় ব্যান্ডগুলোর গান শোনা ঢাকার এলিট রক মিউজিক ভক্তদের মধ্যে আইয়ুব বাচ্চু আর এলআরবি লড়াই করছে স্থান খুঁজে নেওয়ার! অন্যদিকে কিছুটা ফোক ধাঁচে গড়া, সফট মেলো ঘরানার ব্যান্ড মিউজিক তখনো জাঁকিয়ে বসে আছে বাংলাদেশের বাজারে! নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী গণ–আন্দোলনের ঠিক পরবর্তী সেই সময়ে, ঢাকার ব্যান্ড সংস্কৃতি যেন তখনো প্রেমের গানের কঠিন আবহে আটকে আছে।
আর ঠিক তখনই আইয়ুব বাচ্চু আবির্ভূত হলেন এক বাক্স সাদা, বিস্ময়কর জমকালো বাংলা রক গানের সম্ভার নিয়ে! সাদা মলাটে প্রথমবারের মতো দুটি ক্যাসেটে তাঁর অসাধারণ নতুনত্বে সাজানো গানের গল্প গভীর বেদনা আর সচেতনতার এক অদ্ভুত মিশেল। আমাদের প্রতিদিনের সকালে খবরের কাগজ বিলি করা হকারের গল্প, মধ্যবিত্ত পরিবারের সৎ-নিষ্ঠাবান বাবার সারা জীবনের কষ্টে অর্জিত পেনশনের টাকা না পাওয়ার কষ্ট, পুরোনো জীবনধারাকে বদলে দিতে প্রভুর কাছে প্রার্থনা, এক বুক অভিমান বুকে নিয়ে ঘর ছাড়া এক সুখী ছেলের হৃদয়ের আকুতি...আইয়ুব বাচ্চুকে বোধ করি তাঁর একান্ত শ্রোতারা ছাড়া আর কেউই সঠিকভাবে বুঝতে পারেননি!

তাঁর দীর্ঘ সময়ের সঙ্গী, ব্যান্ড মিউজিশিয়ানরাও তাঁর সঙ্গে বাজানোর শতভাগ সক্ষমতা অর্জন করতে পেরেছিলেন কি? বাচ্চু নিজেই অনেক ক্ষেত্রে বলে গেছেন, বেজ গিটারিস্ট স্বপন ছাড়া তাঁর দীর্ঘ যাত্রায় শামিল হওয়ার সক্ষমতা খুব কমসংখ্যক মিউজিশানেরই ছিল! তাই বুঝি তিনি ছিলেন চির একাকী, নিসঃঙ্গ এক মানুষ।
সমকালীন ব্যান্ড মিউজিশিয়ানদের মধ্যে তিনি ছিলেন ঈর্ষার পাত্র, ক্ষেত্রবিশেষে অবজ্ঞার পাত্র! সমকালীন অথবা বাংলা ব্যান্ড মিউজিকের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী মিউজিশিয়ান হওয়ার পরও নিজের ঘরানায় তিনি অবজ্ঞার শিকার হয়েছিলেন প্রকাশ্যে, অনলাইনে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে! যা ছিল তাঁর ভক্তদের জন্য ভীষণ কষ্টের ব্যাপার! একজন ভক্ত হিসেবে তাই স্মরণ করি বাচ্চুর জীবনের শেষ দিনগুলোর গভীর যন্ত্রণার কথা...
কিন্তু আইয়ুব বাচ্চু তো কেবল অসাধারণ নন, আরও ভীষণ যন্ত্রণা বুকে নিয়ে চলা এক বুক কালো ব্যথায় গড়া অন্ধকার মানুষ! আমরা কেউ জানিনি তিনি কী খুঁজছেন, কেউ বুঝতেও চাইনি তাঁর স্বপ্ন!

আইয়ুব বাচ্চু

তাঁর অতি বিখ্যাত প্রেমের গানগুলো এত ভীষণ বিষাদ আর আকুলতার গল্প শোনায়, তা যেন বাংলাদেশের প্রত্যেকের হৃদয়ের কথা বলে! ‘তুমি কেন বোঝো না, তোমাকে ছাড়া আমি অসহায়’—কথাগুলো যেন বাংলা ব্যান্ড মিউজিকের জাতীয় সংগীতে পরিণত হয়! একের পর এক বাচ্চু গেয়ে চলেন ‘আমি অনেক পথ ঘুরে, ক্ষয়ে ক্ষয়ে অন্ধকারে,/ তোমার পথের দেখা পেয়েছি’ কিংবা ‘কখনো ভাবিনি আমি ব্যথা দিয়ে তুমি চলে যাবে’-এর মতো আরও অনেক গান।

আর জীবন থেকে পালানোর যে অভিমান, সেই অভিমান ঘোচানোর জন্য যথেষ্ট ভালোবাসা কি বাচ্চু পেয়েছিলেন? ‘নিস্তব্ধ এই নাগরিক লোকালয়ে,/ জীবনের কাছ থেকে সবটুকু পরাজয় মেনে নিয়ে,/ এখন আমি কার কাছে যাব’, ‘সব চাওয়া পৃথিবীতে পাওয়া হয় না’, ‘একাকী একজন এই আমি,/ স্বপ্নের যত ক্লান্তি আমার,/ আপন করে বুকে জড়ায়’, ‘রাতজাগা পাখি হয়ে’ গানগুলোর কথাতেই শুধু নয়; বরং প্রতিটি গানে তাঁর বাজানো গিটার যেন বারবার কেঁদে ওঠে।
লতিফুল ইসলাম শিবলীর কালজয়ী কথায় গেয়েছিলেন ‘আমার সুরের বুকে কান্না লুকিয়ে থাকে,/ আমার চোখের কোণে নোনা ছবি আঁকে,/ আমার গল্প শুনে হয় আলোকিত উৎসব,/ গল্প শেষে আমি আঁধারের মতো নীরব’। প্রিন্স মাহমুদের কথা ও সুরে ‘যদি তুমি ভালোবাসো আমায়,/ শুধু এ কারণে পালাতে চাই’। সারাটি জীবন আইয়ুব বাচ্চু যাচনা করে গেছেন, তাঁর কথা, তাঁর সুর মানুষ বুঝতে পারবেন! বাংলাদেশের রক সংগীতের কঠিন সময়ে তাঁর ব্যান্ড এলআরবির প্রকাশ করা একের পর এক নিরীক্ষাধর্মী অ্যালবাম, বিশাল কলেবরে দুটি ডাবল অ্যালবাম ছিল বাচ্চুর শ্রোতাদের কাছে নতুন উপায়ে পৌঁছানোর প্রবল আকুতি!

সামাজিক অবক্ষয়, অন্ধকারে নিমজ্জিত যুবসমাজ, হতাশাগ্রস্ত নারী, এমন অনেক হৃদয়ছোঁয়া বিষয়বস্তু উঠে আসে তাঁর গানের কথায়। তা না হলে কার দায় ছিল রাস্তায় পড়ে থাকা জারজ সন্তান, মায়ের কোলে বাড়ি না ফেরার কষ্টে যাপিত সন্তানের আকুতি, গভীর রাতের নিয়ন আলোয় কষ্ট ফেরি করে বেড়ানো মাধবীদের গল্প, জানালার কাছে রাতজাগা সেই উর্মিলা চৌধুরীর গল্প কিংবা বাপ মরা-ঘরকুনো অসহায় একটি ছেলের সন্ত্রাসের কাছে বলি হওয়ার কাহিনি!

আইয়ুব বাচ্চু

আইয়ুব বাচ্চুর গানগুলো বাংলাদেশের সমাজব্যবস্থার কঠিন চিত্রই যেন বারবার চোখের সামনে তুলে আনে। ভয়ংকর অর্থনৈতিক বৈষম্য, অসম সমাজব্যবস্থা, পুঁজিপতি-দালালদের আস্ফালন, দুঃখিনী মায়ের অসহায় কান্না, ঘরছাড়া কিশোরের স্বপ্ন আর বাস্তবতার দোলাচল, সন্ত্রাস আর রাহাজানিতে নিমজ্জিত ‘নষ্ট হয়ে যাওয়া’ যুবসমাজ, পরিচয়হীন মানুষের লিখে যাওয়া ‘সুইসাইড নোট’ কিংবা প্রিয়াকে বলা হৃদয়ের কথা ‘পৃথিবীর অলিগলি, দেয়ালে আছে লেখা,/ আমার অনেক কথা,/ জেনে নিয়ো তুমি গোপনে...’—এসবই যেন বাঙালির সেই চিরন্তন হৃদয় আর বাস্তবতার কথা!
একবিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে যখন বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতচর্চা নিয়ে ভীষণ ঝড় বয়ে যাচ্ছে, সমাজপতিরা যখন ‘জাত গেল, জাত গেল’ বলে ‘ছি ছি’ করেই যাচ্ছে, বাচ্চু তখন সদর্পে গেয়ে চলেছেন জীবনের গান! গিটারের মাতাল করা মূর্ছনা আর দক্ষতায় ছাপিয়ে গিয়েছিলেন বিশ্বের অনেক জনপ্রিয় সংগীতশিল্পীকে! কেবল আফসোস! যথাযোগ্য মর্যাদার অভাবে বাচ্চুর পাগল করা গিটারশৈলী বিশ্বের দরবারে হয়তো সঠিকভাবে পৌঁছাতে পারেনি!

কিন্তু এই মানুষটা তো ছিলেন ভিন্ন, ভীষণ মাত্রায় অভিমানী, প্রবল সহানুভূতিশীল এক মানুষ এবং একজন স্বপ্নদ্রষ্টা। তাই তো প্রায় প্রতিটি কনসার্টেই শুনেছি তাঁর উদাত্ত আশাবাদ, ‘একদিন বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীত বিশ্বের দরবারে পৌঁছাবে!’ আমাদের সুখের সময়ে যিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘যতই আড়ালে রাখো আসলে কেউ সুখী নয়’ কিংবা আমাদের দুঃখে যখন আমরা তাঁকে সাথি হিসেবে পাই তাঁর কণ্ঠের সেই সুরে—‘আমার সুরের বুকে কান্না লুকিয়ে থাকে,/ আমার চোখের কোণে নোনা ছবি আঁকে’!

১৯৯০ সালের ৫ এপ্রিল এলআরবি প্রতিষ্ঠা করেন আইয়ুব বাচ্চু

সপ্তম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় এলআরবির তৃতীয় অ্যালবাম ‘তবুও’ যখন হাতে পেলাম, এটি আমার জন্য আর দশটা গানের অ্যালবামের মতো ছিল না! বরং আমার কিশোর বয়সের মনোজগতে অ্যালবামটি ভীষণ একটি ধাক্কা হেসে আবির্ভূত হয়! ‘তবুও’ অ্যালবামের ‘জারজ সন্তান’ গানটিতে বাপ্পি খানের কথায় আইয়ুব বাচ্চু গেয়েছিলেন, ‘সচেতনতার এই সমাজে/ ভালোবাসার মূল্য দিতে, নষ্ট বীর্য যার জঠরে/ জন্ম দিয়েছে কারো’। এই অ্যালবামের গানগুলো সমসাময়িক চর্চাকে ভীষণভাবে ছাপিয়ে বাংলাদেশের হার্ড রক মিউজিকে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে!

আইয়ুব বাচ্চুর কথা বলতে গেলে কষ্ট, না পাওয়া, বঞ্চনা আর প্রতারিত হওয়ার গল্প যেন কোনোভাবেই পথ ছাড়ে না! সেই যে নিজের মতো গান বাঁধবেন, গানকেই জীবনের পাথেয় করে নেবেন, এমন এক গভীর স্বপ্ন বুকে নিয়ে ঢাকায় এসেছিলেন, তখন হয়তো আমার জীবনে গান শোনার শুরু হয়নি, কিন্তু বাচ্চুর গানের আকুলতা আমার হৃদয়কে স্পর্শ করা ছিল শুধুই সময়ের ব্যাপার!

আমার মতো এমন লাখো কোটি কিশোরের হৃদয় আলোড়িত করতে বাচ্চুর বেশি সময়ের প্রয়োজন হয়নি! তাঁর গানে যে কারণে শ্রোতারা খুব সহজেই যোগাযোগ স্থাপন করতে পেরেছিল, তা ছিল গানের গভীরতা আর বিষয়! শুরু থেকেই বাচ্চুর গান বয়ে বেড়ায় গভীর কষ্টের রূপগাথা! হৃদয় ভাঙা, নীল বেদনা আর অন্ধকার মানুষের গল্প বলে বলে বাচ্চু যেন কেবল কেঁদেই গেছেন!
কেবল ব্যান্ড নয়, নিজের জন্য গড়া গানের অ্যালবামের নাম দিয়েছিলেন ‘কষ্ট’, আর সেই অ্যালবামের পরতে পরতে আমরা শুনি তাঁর কষ্টগাথা, ‘বুকের এক পাশে রেখেছি, জলহীন মরুভূমি,/ ইচ্ছে হলে যখন–তখন, অশ্রুফোঁটা দাও তুমি’ কিংবা গভীর কষ্টের মধ্যেও একবিন্দু আশা...‘এখনো পথের অনেক রয়েছে বাকি’!

আইয়ুব বাচ্চু (১৯৬২-২০১৮)

আজ ১৮ অক্টোবর বাংলাদেশের কিংবদন্তি রক শিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর প্রয়াণদিবস! আজ এই বিশেষ ক্ষণে সেই মানুষটিকে জানাই হৃদয়ের গভীর শ্রদ্ধা আর ধন্যবাদ! এই কৃতজ্ঞতা কেবল এত এত ভালো গান উপহার দেওয়ার জন্য নয়; বরং বাংলাদেশের কয়েকটি প্রজন্মের অব্যক্ত কথা তুলে আনার জন্য, তাদের স্বপ্নগুলোকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য, তাদের অনুভূতিগুলোকে গভীর আদরে গানের মধ্য দিয়ে সংরক্ষণ করার জন্য।
যে মানুষটি সময়ের গহিনে ভীষণ আবেগে হারিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর গিটার আর সুরের ভুবনে! যাঁর গান হৃদয়ে নিয়ে লাখো কোটি বছর পার করে দেওয়া যায়, যাঁর গান কণ্ঠে নিয়ে বাংলার ঘরে ঘরে কিশোর-তরুণেরা শিল্পী হয়ে ওঠার স্বপ্ন দেখে। আমরা বোকা মানুষগুলো তাঁর কষ্ট না বুঝে কেবল তাঁর তথাকথিত কিছু জনপ্রিয় গান নিয়েই মেতে ছিলাম! এদিকে গভীর ব্যথা বুকে নিয়ে, প্রচণ্ড অভিমানে একদিন সেই সুরের জাদুকর রুপালি গিটার ফেলে চলে গেলেন দূরে, বহুদূরে…!
সেই মানুষটি যেন আমাদের স্মৃতি থেকে হারিয়ে না যায়। প্রতিবার তাঁর গানটি শুনতে কিংবা গাইতে গেলে, সুখে-দুঃখে, ধনে-দারিদ্র্যে, ভালোবাসা-অভিমানে, বোবা অশ্রুতে হলেও যেন আমরা তাঁকে হৃদয়ে স্থান দিই। রাষ্ট্র যেন তাঁর স্মৃতি সংরক্ষণের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
এন্ড্রু বিরাজ
ফটোসাংবাদিক, ওয়াশিংটন ডিসি