সংগীতশিল্পী শিরিন
সংগীতশিল্পী শিরিন

শিরিনের ‘কালা’ দিয়ে যাত্রা শুরু ‘গফুর হালী’ ইউটিউব চ্যানেলের

দীর্ঘ বিরতির পর আবারও চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গান করলেন ‘পাঞ্জাবিওয়ালা’খ্যাত শিল্পী শিরিন। এবার আবদুল গফুর হালী রিসার্চ সেন্টারের প্রযোজনায় গফুর হালী ও রমেশ শীল রচিত ১০টি আঞ্চলিক ও মরমি গান রেকর্ড করেছেন শিরিন। এসব গানের মিউজিক ভিডিও ‘গফুর হালী’ ইউটিউব চ্যানেলে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে।
আজ শিরিনের ‘কালা’ গানটি দিয়ে যাত্রা শুরু হলো ‘গফুর হালী’ ইউটিউব চ্যানেলের। তানিম হাসানের পরিচালনায় গানটির সংগীতায়োজন করেছেন আসওয়াদ। দক্ষিণ চট্টগ্রামের শঙ্খ নদের মাঝি ও তীরবর্তী এলাকার নারীর প্রেমকাহিনি নিয়ে গানটি রচিত।

আবদুল গফুর হালী

চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গানে নদী ও নারীকেন্দ্রিক যেসব বিখ্যাত গান রচিত হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হলো ‘কালা’ গানটি। এই গানটি আজ থেকে প্রায় ৪০ বছর আগে শেফালী ঘোষের কণ্ঠে গ্রামোফোন রেকর্ডে বের হয়।

আবদুল গফুর হালী ও চট্টগ্রামের সংগীতজ্ঞদের গানের প্রচার ও প্রসার এবং চট্টগ্রামের লোকসংস্কৃতির সংরক্ষণে ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় আবদুল গফুর হালী রিসার্চ সেন্টার। চাটগাঁইয়া গানের বিশ্বায়নের লক্ষ্যে তাদের উদ্যোগে উদ্বোধন হয় ‘গফুর হালী’ ইউটিউব চ্যানেলের। এ ব্যাপারে রিসার্চ সেন্টারের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মহসিন বলেন, ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর প্রসারে গত এক দশকে চাটগাঁইয়া গানে ধস নেমেছে।

সংগীতশিল্পী শিরিন

গান প্রসঙ্গে সংগীতশিল্পী শিরিন বলেন, ‘লন্ডনে থাকলেও চট্টগ্রামের ভাষা ও গান আমার রক্তে মিশে আছে। “পাঞ্জাবিওয়ালা” ও “মনের বাগান”–এর মতো আলোড়ন সৃষ্টিকারী আরও গান আমি করতে চাই। এবার ‘গফুর হালী’ ইউটিউব চ্যানেলের জন্য রমেশ শীল, গফুর হালী, এম এন আখতার রচিত এবং শেফালী ঘোষের গাওয়া স্বর্ণযুগের কিছু গান করেছি। শ্রোতারা এসব গানে চট্টগ্রামের মাটির ঘ্রাণ পাবেন।’

সংগীতশিল্পী শিরিন

তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রামের অডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নতুন শিল্পী ও গান তৈরি হচ্ছে না। অথচ ইউটিউব, ফেসবুকের কারণে গানের শ্রোতা বেড়েছে। যুগের চাহিদা মাথায় রেখে চট্টগ্রামের কালজয়ী গানগুলো নতুন সংগীতায়োজনে প্রকাশ করছে ‘গফুর হালী’ ইউটিউব চ্যানেল।
এই আয়োজনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন আবদুল গফুর হালী রিসার্চ সেন্টারের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক ও সেক্রেটারি নাসির উদ্দিন হায়দার।