গেরিলা যোদ্ধা থেকে পপগুরু, পপ গানের সম্রাট আজম খান। তাঁর হাত ধরেই তৈরি হয়েছিল বাংলা গানের অন্য এক ধারা। যে গানের মাধ্যমে রাতারাতি মহাতারকায় রূপান্তর ঘটে আজম খানের।
বাংলাদেশের ইতিহাসে পপসংগীতের পথিকৃৎ তিনি। স্বাধীন দেশের সংস্কৃতি ও তরুণদের মধ্যে আলোড়ন তোলা এই পপগুরুর মৃত্যুদিন আজ। তাঁর প্রয়াণের ১৩ বছর পূর্ণ হলো আজ।
‘রেললাইনের ওই বস্তিতে’, ‘হাইকোর্টের মাজারে’, ‘এত সুন্দর দুনিয়ায়’, ‘অভিমানী’, ‘অনামিকা’, ‘পাপড়ি’, ‘আলাল ও দুলাল’, ‘আসি আসি বলে তুমি আর এলে না’, ‘আমি যারে চাইরে’, ‘জ্বালা জ্বালা’, ‘ও চাঁদ সুন্দর’, ‘ওরে সালেকা ওরে মালেকা’, ‘জীবনে কিছু পাব না রে’, ‘বাধা দিয়ো না’সহ বহু জনপ্রিয় গান গেয়ে মাতিয়ে রেখেছেন তরুণ প্রজন্মকে।
১৩ বছর পর হলেও পপগুরুর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছে। যাতে গান গাইবেন শিল্পীর ভাতিজা সংগীতশিল্পী আরমান খান।
৬ জুন আয়োজিত এই কনসার্টের নাম ‘গুরু অব রক: আ ট্রিবিউট টু আজম খান’। কারওয়ান বাজারের ঢাকা ট্রেড সেন্টার অডিটরিয়ামে হচ্ছে এই কনসার্ট। আয়োজন করেছে দ্য অ্যাটেনশন নেটওয়ার্ক।
আরমান খানের পাশাপাশি পপসম্রাটের গান শোনাবেন আরও বেশ কয়েকজন শিল্পী। ৬ জুন সন্ধ্যা ছয়টায় শুরু হবে কনসার্ট। অনলাইনে মিলছে টিকিট। ৬০০ টাকা মূল্য নির্ধারণ।
২০১১ সালের ৫ জুন ক্যানসারে মারা যান শিল্পী। আজম খান না থাকলেও তাঁর গেয়ে যাওয়া গানগুলো সব সময়ের জন্যই প্রাসঙ্গিক।