ভাইরালের পেছনে থাকতে চান না ‘নয়া দামান’খ্যাত তসিবা

গায়িকা তসিবা। ছবি: তসিবার সৌজন্যে
গায়িকা তসিবা। ছবি: তসিবার সৌজন্যে

একটিমাত্র গান দিয়েই দর্শকমনে জায়গা করে নিয়েছেন তাঁরা। ‘বলব না গো আর কোনো দিন’, ‘টিকাটুলীর মোড়ে একটা হল রয়েছে’, ‘অপরাধী’, ‘ও টুনির মা’, ‘নয়া দামান’ প্রকাশের পরই রাতারাতি শ্রোতাদের কাছে পরিচিত হয়ে ওঠেন গানগুলোর শিল্পীরা। রীতিমতো তারকা বনে যান তাঁরা। ভাইরাল হওয়া সেই শিল্পীরা এখন কেমন আছেন? কেমন যাচ্ছে ‘নয়া দামান’খ্যাত তসিবা বেগমের দিনকাল?

সিলেটি এ কন্যার গল্পটি আলাদা। চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকেই গানে হাতেখড়ি। পারিবারিকভাবে গান শিখে এক যুগের বেশি সময় ধরে বিভিন্ন রিয়েলিটি শোতে অংশ নিয়েছেন। ১০ বারের বেশি অংশ নিয়েও প্রতিবারই খালি হাতে ফিরতে হয়েছে ‘নয়া দামান’খ্যাত তসিবা বেগমকে। পরে নিজের গান দিয়েই টিকটক শুরু করেন। তারপরই ভাগ্য খুলে যায়। দুই বছর আগে প্রচলিত ‘নয়া দামান’ গানটি নতুন করে শ্রোতাদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।

গায়িকা তসিবা। ছবি: তসিবার সৌজন্যে

তসিবা গত রোববার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে বলেন, ‘আমার জীবন বদলে দিয়েছে সিলেটি ভাষায় গাওয়া গান “নয়া দামান”। এখনো ভক্তদের সঙ্গে দেখা হলে তাঁরা এ ধরনের গান আরও চান। সারা দেশের দর্শক সিলেটি গান শুনতে চান। এটা দারুণ অনুভূতি। গান নিয়ে ভক্তদের কাছে যাওয়ার যে প্রত্যাশা ছিল, সেটা পূরণ হয়েছে। এখন আমি গান শিখছি এবং গাইছি। শিখেই গান নিয়ে এগোতে চাই।’

গিটারও বাজাতে পারেন তসিবা। ছবি: তসিবার সৌজন্যে

দুই বছরে অনেক কিছুই শিখেছেন। সেসব অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে ভাইরাল-কন্যা বলেন, ‘এখন আর ভাইরালের পেছনে থাকতে চাই না। আরও ভালো গান করে যেতে চাই। দেখা যায়, অনেক ভাইরাল গান আজ আছে তো কাল নেই। এভাবে আর চাই না। আমি ১৪-১৫ বছর কষ্ট করে আজকের এই জায়গায় এসেছি। সেই জায়গাটাকে ধরে রাখতে চাই। এলাম আর গেলাম, সেই রকমভাবে গান করতে চাই না।’

গায়িকা তসিবা। ছবি: তসিবার সৌজন্যে

ঈদে ‘কলেজ পড়া মাইয়া’, ‘ওরে কালা ভোমরা’, ‘আজ ময়নার গায়ে হলুদ’—এই তিনটি গান প্রকাশ পাবে। গানগুলোর মিউজিক ভিডিওতে দেখা যাবে এই সিলেটি কন্যাকে। এবার ঈদে প্রবাসীদের আমন্ত্রণে কাতারে গান গাইতে যাচ্ছেন তসিবা। সবশেষে তিনি বলেন, ‘আমি আমার মতো করেই গান করতাম। সেটা নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলতেন। প্রতিবার যখন রিয়েলিটি শোগুলো থেকে ফিরতাম, তখন মনে হতো আমাকে আরও ভালো কাজ করতে হবে। কেন আমি টিকতে পারছি না, এগুলো নিয়ে কেউ দুকথা বললেও আমি কখনোই সেগুলোকে গুরুত্ব দিইনি। যে কারণে আমি টিকটক শুরু করেছিলাম। তখনই বুঝতে থাকি, আমার গাওয়া গান দর্শকেরা পছন্দ করেন। পরে “নয়া দামান” গানটি করি। এখন আমার আরও বেশি সামনে এগিয়ে যাওয়ার সময়। আমি গান নিয়ে ভালো আছি।’