‘৫০ বছর ধরে আমি সংগীতজগতের সঙ্গে জড়িয়ে আছি। বাংলাদেশের সঙ্গে রয়েছে আমার নিবিড় সম্পর্ক । ভালোবাসার টান। তাই তো বাংলাদেশের শিল্পী অরূপ রতনের সঙ্গে গান গাইতে পেরে আমার খুব ভালো লাগছে। ভবিষ্যতে আমরা আবার একসঙ্গে গান গাইব, সেই প্রত্যাশা রইল আমার।’
বললেন কলকাতার জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী হৈমন্তী শুক্লা। বাংলাদেশের শিল্পী অরূপ রতন চৌধুরীর সঙ্গে দ্বৈতকণ্ঠে গাওয়া রবীন্দ্রসংগীতের অ্যালবাম প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে কলকাতা প্রেসক্লাবে ‘দাঁড়িয়ে আছো তুমি আমার’ শীর্ষক অ্যালবামের মোড়ক উন্মোচনে ছিলেন শিল্পী হৈমন্তী শুক্লা ও অরূপ রতন চৌধুরী। আরও উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা পৌর করপোরেশনের মেয়র পরিষদ সদস্য দেবাশীষ কুমার প্রমুখ।
মোড়ক উন্মোচনের পর অরূপ রতন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেছেন, দুই বাংলার সংস্কৃতির সেতুবন্ধকে আরও দৃঢ় করার লক্ষ্য নিয়ে এবার এই প্রথম হৈমন্তী শুক্লার সঙ্গে দ্বৈতকণ্ঠে বের হলো তাঁদের এই রবীন্দ্রসংগীতের অ্যালবাম। কলকাতায় তাঁর এই প্রথম রবীন্দ্রসংগীতের অ্যালবামটি বের হলো প্রথিতযশা শিল্পী হৈমন্তী শুক্লার সঙ্গে। বলেন, ‘আমি মুগ্ধ হৈমন্তী শুক্লার মতো এক প্রখ্যাত শিল্পীর সঙ্গে গান গাইতে পেরে। আমি চাই, আমাদের বাংলাদেশের সঙ্গে কলকাতার সংস্কৃতির আরও বেশি আদানপ্রদান হোক। আমাদের দুই দেশের সংস্কৃতির নৈকট্য বাড়ুক। দৃঢ় হোক ভালোবাসা আর সংস্কৃতির বন্ধন। আমাদের মৈত্রীর বন্ধন চির অটুট থাকুক।’
‘দাঁড়িয়ে আছো তুমি আমার’ অ্যালবামে স্থান পেয়েছে পাঁচটি জনপ্রিয় রবীন্দ্রসংগীত। গানগুলো হচ্ছে ‘সেদিন দুজনে দুলেছিনু বনে, ফুলডোরে বাঁধা ঝুলনা’, ‘আমার পরান যাহা চায়’, ‘দাঁড়িয়ে আছো তুমি আমার গানের ওপারে’, ‘তোমার কাছে এ বর মাগি, মরণ হতে যেন জাগি’ এবং ‘তোমার পূজার ছলে তোমায় ভুলেই থাকি’। অ্যালবামটিতে ধারাভাষ্য দিয়েছেন অভিনেতা ও আবৃত্তিকার সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। সংগীত পরিচালনা করেছেন সুমন সেনগুপ্ত আর পরিবেশনায় রয়েছে সাউন্ডটেক।