ইউসুফ, সুবীর নন্দীকে নিয়ে
ইউসুফ, সুবীর নন্দীকে নিয়ে

সুবীর কাকু আমাদের অভিভাবক ছিলেন

২০০৮ সালে সুবীর নন্দীকে কাছ থেকে পান ইউসুফ আহমেদ খান। রিয়েলিটি শোর গ্রুমার ও বিচারক হিসেবে ছিলেন সুবীর নন্দী। তাঁর দিকনির্দেশনাই সংগীতাঙ্গনে ইউসুফকে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা দিয়েছে।

প্রিয় শিল্পীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ইউসুফ বলেন, ‘সুবীর কাকু (সুবীর নন্দী) আমাদের অভিভাবক ছিলেন। ২০০৮ সালের রিয়েলিটি শোতে তিনি আমাদের গ্রুমার ছিলেন। তিনি আমাকে বিশেষভাবে গাইড করতেন, সন্তানের মতো স্নেহ করতেন। আমাকে সব সময় বলতেন, গানটা যেন নিয়মিত চালিয়ে যাই। তিনি আসলে তরুণদের নিয়ে ভাবতেন। বলতেন, রিয়েলিটি শোতে যেন দেশের শিল্পীদের গান করি, যেন মৌলিক গান করি। তাঁর নির্দেশনা মেনেই আমি দেশের শিল্পীদের গান করেছি, মৌলিক গানের চর্চা করে যাচ্ছি। আমার সৌভাগ্য যে আমি তাঁর সুর করা “এ কোন ফাগুন” গানটি করতে পেরেছিলাম। এ গান তিনি শাকিলা ফুফুর জন্য (শাকিলা শর্মা) জন্য সুর করেছিলেন।’

সংগীত পরিবারের সন্তান ইউসুফ আহমেদ খান। বাবা ওস্তাদ ইয়াকুব আলী খান। রিয়েলিটি শোর মাধ্যমে সংগীতাঙ্গনে পরিচিতি পেয়েছেন ইউসুফ। তবে নিজস্ব ঘরানার গানের চর্চাই চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। টেলিভিশন ও মঞ্চের পাশাপাশি নিজের গানগুলো প্রকাশ করছেন নিজের ইউটিউব চ্যানেল ‘ওয়াই বিটস’-এ। সংগীতাঙ্গনে পথচলার সুযোগ ও আজকের অবস্থানের জন্য মা–বাবার প্রতি কৃতজ্ঞ এই শিল্পী। এরই মধ্যে ইউসুফের গাওয়া ‘কোথাও কেউ নেই’ গানটি শ্রোতাদের কাছ থেকে প্রশংসা কুড়িয়েছে। গানটিতে তাঁর সহশিল্পী আনিকা।

সম্প্রতি মা দিবস উপলক্ষে ‘মেঘেতে বিজলি যেমন’ শিরোনামে নতুন একটি গান করেছেন ইউসুফ। এ ছাড়া প্রজেক্ট ইউসুফিয়ানা নামে তরুণ শিল্পীদের নিয়ে একটি সংগীত উদ্যোগ নিয়ে কাজ করছেন তিনি। সামনে সংগীতাঙ্গনে যে শিল্পীরা আসছে, তাদের সুবীর নন্দীকে পাঠ করতে হবে বলে মনে করেন ইউসুফ। তিনি বলেন, ‘সামনে যারা আসবে, তাদের অবশ্যই সুবীর নন্দীর গান শুনতে হবে, সেসব থেকে শিখতে হবে।’