সিঙ্গাপুরে কনসার্টে থাকবেন এন্ড্রু কিশোর, উঠবেন মঞ্চেও

এন্ড্রু কিশোর। ছবি: ফেসবুক
এন্ড্রু কিশোর। ছবি: ফেসবুক

ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এন্ড্রু কিশোর। কাল রোববার সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুরের জালান বুকিত মেরাহর গেটওয়ে থিয়েটারে এন্ড্রু কিশোরের চিকিৎসার তহবিল সংগ্রহের জন্য গাইবেন তিন সংগীতশিল্পী—সৈয়দ আব্দুল হাদী, সাবিনা ইয়াসমীন ও মিতালী মুখার্জি। অনুষ্ঠানে সশরীরে উপস্থিত থাকবেন শিল্পী নিজেও। আজ শনিবার সকালে সিঙ্গাপুর থেকে খবরটি জানালেন এন্ড্রু কিশোর।

এদিকে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, কাল সন্ধ্যার সেই অনুষ্ঠানে মঞ্চেও উঠবেন এন্ড্রু কিশোর। তবে দেশবরেণ্য এই শিল্পী মঞ্চে উঠে গান গাইবেন নাকি কোনো ঘোষণা দেবেন, তা জানা যায়নি। এন্ড্রু কিশোর বলেন, ‘কাল সন্ধ্যায় যেহেতু অনুষ্ঠান, আপাতত এ নিয়ে কিছুই বলতে চাই না। আমার কিছু চিন্তাভাবনা আছে, যা আমি কাল উপস্থিত সবার সামনে বলতে চাই। তাই অনুষ্ঠান চলাকালে তা জানতে পারবেন সবাই। ততক্ষণ পর্যন্ত সবাইকে অপেক্ষা করতে হবে।’

শরীরে নানা ধরনের জটিলতা নিয়ে অসুস্থ অবস্থায় গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছিলেন। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর গত ১৮ সেপ্টেম্বর তাঁর শরীরে নন-হজকিন লিম্ফোমা ধরা পড়ে। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক লিম সুন থাইয়ের অধীনে তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়। গত তিন মাস একনাগাড়ে তাঁর চিকিৎসা চলে। এন্ড্রু কিশোর বলেন, ‘শিল্পী হিসেবে আমার দেশের প্রধানমন্ত্রী যে ভালোবাসা ও দায়িত্বের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, তাতে আমার কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা নেই। এ ছাড়া দেশে এবং দেশের বাইরে থেকে যেভাবে মানুষ আমার জন্য দোয়া ও ভালোবাসা প্রদর্শন করেছেন, তা আমাকে শক্তি ও সাহস জুগিয়েছে। সবার কাছে আমি শুধু দোয়াটুকু চাইছি।’

এন্ড্রু কিশোর। ছবি: ফেসবুক

এন্ড্রু কিশোরের খুব জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে ‘জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প’, ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস’, ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’, ‘আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি’, ‘আমার বুকের মধ্যে খানে’, ‘আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন শুনেছিলাম গান’, ‘ভেঙেছে পিঞ্জর মেলেছে ডানা’, ‘সবাই তো ভালোবাসা চায়’, ‘পড়ে না চোখের পলক’, ‘পদ্মপাতার পানি’, ‘ওগো বিদেশিনী’, ‘তুমি মোর জীবনের ভাবনা’, ‘আমি চিরকাল প্রেমের কাঙাল’ প্রভৃতি।

সংগীতজীবনের শুরুতে আবদুল আজিজ বাচ্চুর অধীনে প্রাথমিকভাবে সংগীতচর্চা শুরু করেন এন্ড্রু কিশোর। চলচ্চিত্রে তাঁর প্লেব্যাক যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৭ সালে আলম খান সুরারোপিত ‘মেইল ট্রেন’ চলচ্চিত্রের ‘অচিনপুরের রাজকুমারী নেই যে তার কেউ’ গানের মধ্য দিয়ে। এরপর তাঁর গাওয়া অনেক গান জনপ্রিয় হয়। বাংলা চলচ্চিত্রের গানে অবদান রাখার জন্য তিনি কয়েকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন।