দেশের বরেণ্য সংগীতশিল্পী শাহনাজ রহমতউল্লাহর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর বনানীতে সামরিক বাহিনীর কবরস্থানে তাঁর মরদেহ দাফন করা হয়। এর আগে বাদ জোহর শাহনাজ রহমতউল্লাহর জানাজা হয় বারিধারার ৯ নম্বর রোডের পার্ক মসজিদে।
গতকাল রাত সাড়ে ১১টায় বারিধারায় নিজ বাসায় শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় শাহনাজ রহমতউল্লাহ মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। তিনি স্বামী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। স্বামী মেজর (অব.) আবুল বাশার রহমতউল্লাহ ব্যবসায়ী, মেয়ে নাহিদ রহমতউল্লাহ থাকেন লন্ডনে আর ছেলে এ কে এম সায়েফ রহমতউল্লাহ যুক্তরাষ্ট্রের এক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ করে এখন কানাডায় থাকেন।
আজ বেলা পৌনে তিনটায় শাহনাজ রহমতউল্লাহর দাফন সম্পন্ন হয়। এ সময় স্বামী আবুল বাশার রহমতুল্লাহ ছাড়াও শিল্পীর আত্মীয়স্বজন উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের গানের জগতে অত্যন্ত পরিচিত একটি নাম শাহনাজ রহমতউল্লাহ। ১৯৫৩ সালে জন্মগ্রহণ করা এ শিল্পী ১০ বছর বয়স থেকেই গান শুরু করেন। প্রায় সেই বয়সেই গান করেন চলচ্চিত্র, টেলিভিশন আর বেতারে। খেলাঘর থেকে শুরু করা এ শিল্পীর কণ্ঠ শুরু থেকেই ছিল বেশ পরিণত। গজলসম্রাট মেহেদি হাসানের শিষ্য হয়েছিলেন তিনি। বাংলাদেশের দেশাত্মবোধক গানের দিকটা ধরতে গেলে সবার আগেই চলে আসে শাহনাজ রহমতউল্লাহর নাম। তাঁর ভাই আনোয়ার পারভেজ ছিলেন সুরকার, তাঁর আরেক ভাই চিত্রনায়ক জাফর ইকবালও করতেন গান।