শান্তিনিকেতনে হবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটকের গান নিয়ে অনুষ্ঠান। সেখানেই গান শোনাবেন বাংলাদেশের সংগীতশিল্পী নুসরাত বিনতে নূর। এ অনুষ্ঠানের সঙ্গে থাকছে আরও কিছু নাম। বিখ্যাত সাহিত্যিক সমরেশ বসুর মেয়ে বুলবুল বসু আয়োজনটির উদ্যোক্তা। প্রধান অতিথি ও উদ্বোধক থাকছেন সমরেশ বসুর ছেলে নবকুমার বসু। বুলবুল বসুর শান্তিনিকেতনের বাসভবনের আঙিনায় হবে এই আয়োজন।
বলে রাখা ভালো, বুলবুল বসু বিখ্যাত রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিষ্য, আর নুসরাত শিষ্য বুলবুলের। শান্তিনিকেতনে পড়ার সময় একটি পরীক্ষার অতিথি পরীক্ষক ছিলেন বুলবুল বসু। নুসরাতের গান শুনে ভালো লাগে তাঁর। তারপর বুলবুল বসুর সঙ্গে সম্পর্কটা হয়ে যায় গুরু-শিষ্যের।
নুসরাত ছাড়াও শান্তিনিকেতনের একঝাঁক প্রাক্তন শিক্ষার্থী গাইবেন অনুষ্ঠানটিতে। আছেন কাবেরী রায়, কুশনী সরেন, কুন্তল চক্রবর্তী, গৌরব চৌধুরী, প্রিয়ম মুখোপাধ্যায়, ঋতপা ভট্টাচার্য, অঙ্কন রায়, মনোজ মুরলী নায়ার ও মনীষা মুরলী নায়ার। যন্ত্রসংগীতে থাকবেন অনিমেষ চন্দ্র, অলক বন্দ্যোপাধ্যায়, চঞ্চল নন্দী, শক্তি প্রসাদ চক্রবর্তী ও বিষ্টু বাবু।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘অরূপরতন’, ‘ফাল্গুনী’, ‘প্রায়শ্চিত্ত’, ‘নটীর পূজা’, ‘তাসের দেশ’, ‘মায়ার খেলা’, ‘রক্তকরবী’ ও ‘বাঁশরি’—এই আট নাটকের গান নিয়ে সাজানো হয়েছে অনুষ্ঠান। নুসরাত বলেন, ‘কবিগুরুর আটটি নাটকের গান পরিবেশন করব আমরা। আমি গাইব “রক্তকরবী” ও “তাসের দেশ” থেকে দুটি গান।’
নুসরাত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে পড়ালেখার পরে শান্তিনিকেতনে পড়েছেন রবীন্দ্রসংগীতে। শিখেছেন বুলবুল বসুর কাছ থেকে, এখনো শিখছেন। টিভি ও মঞ্চে নিয়মিত গাইছেন। রবীন্দ্রসংগীতকে শুদ্ধভাবে চর্চা করাই নুসরাতের লক্ষ্য। তিনি বলেন, ‘শান্তিনিকেতনে যাওয়ার পেছনে আমার বাবার ভূমিকা ছিল সবচেয়ে বেশি। জীবন কতটা সহজ হতে পারে, সেটা ওখানে গিয়ে শিখেছি। শুদ্ধভাবে রবীন্দ্রসংগীত চর্চা করাই এখন পরিকল্পনা। আমাদের অগ্রজেরা এই কাজটা করে যাচ্ছেন। আমার কাজ এটিকে আরও বেগবান করা। বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় শুদ্ধভাবে রবীন্দ্রসংগীত চর্চায় কাজ করে যেতে চাই। সব জায়গায় তো শুদ্ধভাবে চর্চা হচ্ছে না।’