তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসা শেষে আলাউদ্দীন আলীকে এখন কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে। চিকিৎসকদের কড়া নির্দেশ, কেবিনে যেন কোনো দর্শনার্থী ভিড় না করেন। প্রথম আলোকে আজ রোববার দুপুরে এমনটাই জানালেন তাঁর স্ত্রী ফারজানা মিমি।
বরেণ্য গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালক ও বাদ্যযন্ত্রশিল্পী আলাউদ্দীন আলী গত জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে রাজধানীর মহাখালীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর রক্তে কার্বন ডাই–অক্সাইডের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় রক্তচাপ ও জ্ঞানের মাত্রা কমে যায়। একই সময়ে হঠাৎ তাঁর হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায়। এ অবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শে তাঁকে দ্রুত আইসিইউতে নেওয়া হয়। তাঁকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। শারীরিক অবস্থার উন্নতিতে লাইফ সাপোর্ট প্রত্যাহার করা হয়েছে। আইসিইউ থেকে এখন তাঁকে কেবিনে আনা হয়েছে।
অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. দেলোয়ার হোসেন ও ডা. জাকির হোসেন সরকারের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আলাউদ্দীন আলী। চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে ফারজানা করিম জানান, উন্নতির হার এভাবে চলতে থাকে তিনি উঠে বসতে পারবেন। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য আলাউদ্দীন আলীকে দেশের বাইরে নেওয়ার ব্যাপারে ভাবা হবে।
আলাউদ্দীন আলীর মেয়ে আলিফ আলাউদ্দীন বলেন, ‘বাবা আস্তে আস্তে হাত নাড়াচ্ছেন। চোখ, মাথা ঘোরাচ্ছেন। ইশারায় তিনি আমাদের তাঁর মনের কথা বোঝাতে পারছেন। বাবার আরও সুস্থতার জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।’
আলাউদ্দীন আলী বাংলা গান, বিশেষ করে বাংলা চলচ্চিত্রে শ্রোতাপ্রিয় অসংখ্য গান তৈরি করেছেন। গান লিখে তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। গুণী এই মানুষের জন্ম ১৯৫২ সালের ২৪ ডিসেম্বর মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুরের টঙ্গিবাড়ী থানার বাঁশবাড়ী গ্রামে।