‘২-৩ বছর আগে একটা সার্জারির সময় এমনিতে আমার বাঁ পাশের ফুসফুসের স্বাভাবিক কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। সেবার মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে আসি। এবার যখন আবার ফুসফুসের সংক্রম হয়ে গেল, তখন ব্যাপারটা জটিল হয়ে যায়। বলা চলে আবারও মরতে মরতে বেঁচে গেছি। আমি এখন আগের চেয়ে অনেক ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ। গতকাল তাই দুবাইয়ের হাসপাতাল থেকে দেশে ফেরার ছাড়পত্র পাই।’ দেশে ফিরেই আজ শুক্রবার দুপুরে প্রথম আলোকে জানালেন অর্থহীন ব্যান্ডের সুমন।
সংগীতাঙ্গনে ‘বেজবাবা সুমন’ নামে তিনি পরিচিত। সাড়ে চার মাস ধরে তিনি শুরুতে ব্যাংককের সামিতিবাজ হাসপাতালে এবং পরে সেখান থেকে দুবাইয়ের মেডিক্লিনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আজ শুক্রবার সকালেই তিনি ঢাকায় ফিরেছেন। সুমন বলেন, ‘আমার সার্জারি করাতে হবে। চিকিৎসকের কাছ থেকে যতটা জানতে পেরেছি, আমাকে সার্জারির জন্য আরও ছয় মাস অপেক্ষা করতে হবে। তাই দেশের বাইরে বসে না থেকে দেশে ফিরে এসেছি।’
সুমন জানালেন, তাঁর চিকিৎসার জন্য জার্মানি যাওয়া দরকার ছিল। কিন্তু লকডাউনের কারণে যেতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘এবার শুধু ওষুধ খেয়ে এবং ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা চালাতে হয়েছে। এর মধ্যে আবারও একবার ফুসফুসের সংক্রমণ হয়েছিল। সবকিছু মিলে জটিল ছিল। তবে ভালো অনুভব করায় চলে আসছি।’
বেজবাবা সুমনের শরীরে বেশ কয়েক বছর আগে চিকিৎসকেরা দুটি টিউমারের অস্তিত্ব পান। পরে জানা যায়, সুমন ক্যানসারে আক্রান্ত। তখন ক্যানসারটি প্রথম ধাপে থাকায় চিকিৎসায় তিনি সুস্থ হয়ে উঠছিলেন। ২০১৭ সালে চিকিৎসার পর ব্যাংককের একটি হাসপাতাল থেকে ফিরছিলেন তিনি। এমন সময় হঠাৎ তাঁকে একটি গাড়ি ধাক্কা দেয়। ব্যাংককের ওই দুর্ঘটনায় সুমনের স্পাইনাল কর্ডের ক্ষতি হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চিকিৎসকেরা তাঁকে পরামর্শ দেন জার্মানিতে চিকিৎসা করানোর। এই গায়ক ২০১৮ সালে অসুস্থ অবস্থায় একটি গান করেছিলেন। গানটি ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’ ছবিতে ব্যবহার করা হয়। তারপর গান করার পরিকল্পনার কথা থাকলেও তিনি অসুস্থতার জন্য কণ্ঠ দিতে পারেননি।