এই গল্পের মূল চরিত্র তিনটি—বিশ্বসংগীতের আকাশের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র টেলর সুইফট, ব্রান্ডি বেনেন নামের ২৬ বছর বয়সী এক সুইফটভক্ত তরুণী ও টম স্মিথ নামের এক রেকর্ড কোম্পানির কর্মকর্তা। গল্পটি টেলর সুইফটের এক ভক্তের সততার উদাহরণ হয়ে আছে।
এই গল্পের মূল চরিত্র তিনটি—বিশ্বসংগীতের আকাশের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র টেলর সুইফট, ব্রান্ডি বেনেন নামের ২৬ বছর বয়সী এক সুইফটভক্ত তরুণী ও টম স্মিথ নামের এক রেকর্ড কোম্পানির কর্মকর্তা। টেলরের স্বাক্ষর করা ‘ফোকলোর’ গানের ৩০টি সিডি অর্ডার করেছিলেন টম স্মিথ। শনিবার সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে সেই সিডিগুলো ডেলিভারি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই রেকর্ড কোম্পানির দোকান খোলে সকাল ১০টায়। আর টম জানতেন না যে ডেলিভারি ১৫ মিনিট আগে আসবে।
ওই দিন টেলরের নতুন গানের সিডি আসবে বলে আগে থেকেই এক বান্ধবীকে নিয়ে দোকানে গিয়ে বসে ছিলেন ব্রান্ডি বেনেন। তিনিই সিডিগুলো গ্রহণ করেন। তিনি টেলর সুইফটের মহাভক্ত। তাঁর বাড়ির দরজায় লেখা, ‘আপনি বরং টেলর সুইফটের ভক্ত হয়ে যান।’ ব্রান্ডি দিব্যি সিডিগুলো নিয়ে ভেগে যেতে পারতেন। ওই ৩০টি সিডি অন্তত ১০ লাখ টাকায় বেচতে পারতেন। কিন্তু তিনি টম আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করেন। টম এলে সিডিগুলো তাঁর হাতে বুঝিয়ে দেন। আর প্রায় ৪০ হাজার টাকা দিয়ে টেলরের স্বাক্ষর করা একটি সিডি কেনেন।
এই ঘটনা এখানেই শেষ হয়ে যেতে পারত। কিন্তু টম ঘটনাটি টেলরের ব্যবস্থাপককে জানান। ম্যানেজার ঘটনাটি জানান এই সংগীতশিল্পীকে। এরপর টেলর সুইফট নিজে ফোন করে ধন্যবাদ জানান ব্রান্ডিকে। শুধু তা–ই নয়, এই ভক্তকে ট্যাগ করে একটি টুইটও করেন। এরপরই আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় ব্রান্ডিকে নিয়ে হইচই পড়ে যায়। সোমবার টুডে সাময়িকীর কভার স্টোরি হিসেবে ছাপা হয়। শিরোনাম, ‘মানবতা মরেনি’। ব্রান্ডিকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়, ‘আপনি সিডিগুলো নিয়ে চলে গেলেন না কেন?’ উত্তর এল, ‘আমি কেন সেটা করব! তাতে কি টেলর খুশি হতেন?’ রাতারাতি তারকা বনে যাওয়া এই ভক্ত বলেন, ‘ঘুম থেকে উঠে আমি অবাক। দেখি, লাখ লাখ মানুষ আমাকে ফলো করছে। ফোনের পর ফোন। সব দেখেশুনে মুঠোফোন সাইলেন্ট করে, দরজা লাগিয়ে আমি আরেকটু ঘুমিয়ে নিলাম।’
‘ঘুম থেকে উঠে আমি অবাক। দেখি, লাখ লাখ মানুষ আমাকে ফলো করছে। ফোনের পর ফোন। সব দেখেশুনে মুঠোফোন সাইলেন্ট করে, দরজা লাগিয়ে আমি আরেকটু ঘুমিয়ে নিলাম।’ব্র্যান্ডি বেনেন লি