বার্কলেতে বাংলাদেশের ঘাসফড়িং কয়্যার

হ্যাবিট্যাট সেন্টারে দুই ঘণ্টার সেই পরিবেশনা আরমীন মুসার (বাম থেকে চতুর্থ) শেষে ঘাসফড়িং কয়্যার ও অ্যানেট ফিলিপের (ডান থেকে চতুর্থ) ‘উইমেন্স অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ সদস্যরা
হ্যাবিট্যাট সেন্টারে দুই ঘণ্টার সেই পরিবেশনা আরমীন মুসার (বাম থেকে চতুর্থ) শেষে ঘাসফড়িং কয়্যার ও অ্যানেট ফিলিপের (ডান থেকে চতুর্থ) ‘উইমেন্স অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ সদস্যরা

জ্যাজ, ব্লুজ, লোক, শাস্ত্রীয়, আধুনিকসহ সব ধরনের গান করছেন আরমীন মুসা। চার বছর আগে বার্কলে কলেজ অব মিউজিক থেকে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে গ্র্যাজুয়েশন করেন তিনি। সাড়ে তিন বছর আগে ‘ঘাসফড়িং কয়্যার’ নামে একটি গানের দল গড়ে তোলেন। এই ক্লাবের আটজন সদস্য নিয়ে অভিজ্ঞতা অর্জনে সম্প্রতি বার্কলে কলেজ অব মিউজিকের ‘বার্কলে ইন্ডিয়া এক্সচেঞ্জ’ শিরোনামে পাঁচ দিনের এক কর্মশালায় অংশ নেন। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় গানের দল ঘাসফড়িং কয়্যারের জন্য একটি অন্য রকম অভিজ্ঞতা বলে মনে করেছেন দলনেতা আরমীন মুসা।

হ্যাবিট্যাট সেন্টারে পরিবেশনার মুহূর্ত

গত ২২ সেপ্টেম্বর দিল্লির অরবিন্দ সেন্টারে পাঁচ দিনের এই কর্মশালা শুরু হয়। ‘ভোকাল ইনটেনসিভ ব্যুট ক্যাম্প’ বিষয়ে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বাংলাদেশের ঘাসফড়িং ছাড়াও অংশ নেয় ভারত, আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার সংগীতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। শিক্ষার্থীদের তত্ত্বাবধানে ছিলেন বার্কলে কলেজ অব মিউজিকের ইতালি, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও কানাডার অধ্যাপকেরা। কর্মশালা পরিচালনা করেন বার্কলে কলেজ অব মিউজিকের অধ্যাপক ও শিল্পী অ্যানেট ফিলিপ।

হ্যাবিট্যাট সেন্টারে পরিবেশনার মুহূর্ত

পাঁচ দিনের কোর্স শেষে বাংলাদেশের গানের দল ঘাসফড়িং কয়্যার অ্যানেট ফিলিপ ও তাঁর গানের দল ‘উইমেন্স অব দ্য ওয়ার্ল্ড’-এর সঙ্গে পরিবেশনায় অংশ নেন। ভারতের দিল্লির হ্যাবিট্যাট সেন্টারে দুই ঘণ্টার সেই পরিবেশনা জীবনের একটা অসাধারণ অভিজ্ঞতা হয়ে থাকবে বলে জানান আরমীন।

প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপে আজ রোববার দুপুরে আরমীন মুসা বলেন, ‘এই কর্মশালা আমাদের অনেক বেশি পেশাদার হতে শিখিয়েছে। আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। শত কাজের মাঝেও মিউজিক নিয়ে কীভাবে এগিয়ে যেতে হয় সেই শিক্ষা নতুন করে পেয়েছি এখান থেকে। তবে আমরা সবচেয়ে বেশি জানতে পেরেছি, আমরা কতটা জানি না, তা।’

দিল্লির অরবিন্দ সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয় ‘ভোকাল ইনটেনসিভ ব্যুট ক্যাম্প’

গানের দল ‘ঘাসফড়িং কয়্যার’ প্রতিষ্ঠা করার কারণ হিসেবে আরমীন মুসা বলেন, ‘বার্কলে কলজে অব মিউজিক থেকে পড়াশোনা শেষ করে ঢাকায় এসে কয়্যার নিয়ে কাজ করার মতো কোনো দল পাইনি। যদিও এখন আমি মিতা হকের গানের দলের সঙ্গে আছি। কিন্তু পশ্চিমা ধাঁচে কিছু করার মতো কোনো গানের দল পাইনি, তাই নিজেই দল গড়ে তুললাম। আমার যে ধরনের মিউজিক করার ইচ্ছে তা এই দলের মাধ্যমে করতে পারছি।’

গানের দল ঘাসফড়িং কয়্যারের সদস্য ১৬ জন। দলটি বাংলাদেশে শাস্ত্রীয়, সমসাময়িক এবং আধুনিক বাংলা গানে ওয়েস্টার্ন হারমোনিকস কোরাল এবং নিরীক্ষার মাধ্যমে শ্রোতাদের নতুন কিছু দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে জানালেন আরমীন মুসা।