‘বাংলাদেশে ব্যান্ড মিউজিকের গৌরবোজ্জ্বল অতীত ছিল। সুন্দর ভবিষ্যৎ নিয়েও নতুন করে কিছু বলার নেই। তাই তো বামবা সব সময় সারা দেশ থেকে প্রতিশ্রুতিশীল ব্যান্ডদের বাছাই করতে এমন উদ্যোগ নেয়।’ নতুন সদস্য সংগ্রহের জন্য অন্যরকম আয়োজন শেষে প্রথম আলোকে এমনটাই বললেন বামবা সভাপতি হামিন আহমেদ।
সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা প্রতিশ্রুতিশীল ও জনপ্রিয় ব্যান্ডকে বাংলাদেশ ব্যান্ড মিউজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বামবা) তাদের ছায়াতলে রাখতে আবার এই উদ্যোগ নিয়েছে। অন্য রকম এ আয়োজনে অংশ নিতে সারা দেশ থেকে ৮৫টি ব্যান্ড আবেদন করে। বামবা সদস্যরা ১৭টি ব্যান্ডকে নিয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। হামিন আহমেদের ভাষায়, ‘আমরা সামনাসামনি ব্যান্ডগুলোর পরিবেশনা দেখতে চেয়েছি। তাদের অনেকে আমাদের নানাভাবে মুগ্ধ করেছে।’
হামিন আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশ বরাবরই ব্যান্ড মিউজিকে উজ্জ্বল অবস্থানে। এখনো ব্যান্ডের অবস্থান বেশ সন্তোষজনক। খোলা মাঠের কনসার্ট হলেই আমরা তা ভালোভাবে টের পাই। তারুণ্যের উচ্ছ্বাস আমাদের সব সময় অনুপ্রাণিত করে।’
গত রোববার সন্ধ্যায় ঢাকার যমুনা ফিউচার পার্কের ‘ইয়ামাহা মিউজিক বাংলাদেশ’ প্রাঙ্গণে ১৭টি ব্যান্ড নিয়ে বামবা একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এর অডিশন পর্বের নাম দেওয়া হয় ‘ইয়ামাহা-বামবা জ্যাম সেশন’। বামবা সভাপতি হামিন আহমেদ বলেন, ‘যে ব্যান্ডগুলো অংশ নিয়েছে, তাদের অনেকে পাঁচ থেকে সাত বছর নিরলসভাবে ব্যান্ড সংগীতের চর্চা করে যাচ্ছে। একটা মেয়ে তো অসাধারণ গিটার বাজাল, খুবই ভালো লেগেছে। মনে হচ্ছে, আসাধারণ কয়েকটি ব্যান্ডকে সদস্য হিসেবে পেতে যাচ্ছি।’
হামিন আহমেদ এ-ও বলেন, ‘ব্যান্ড সংগীতের এই অ্যাসোসিয়েশন সব সময় নতুন সদস্য নেয়। মাঝে একটা সময় নানা কারণে সদস্য নেওয়ার কার্যক্রম বন্ধ ছিল। নিজেদের ব্যস্ততাও ছিল। সর্বশেষ শূন্য ও অ্যাভয়েডরাফা বামবার সদস্য হয়েছিল। সবাই মিলে কিছুদিন ধরে নতুন সদস্য নেওয়ার কথা ভাবছিল। সেই ভাবনা থেকেই এমন আয়োজন। এতটা সাড়া পাব, ভাবতেও পারিনি। আমরা সত্যিই অভিভূত।’
নতুন ব্যান্ডগুলোকে বামবা সদস্যপদ দিতে এ আয়োজনে বিচারকের আসনে হামিন আহমেদ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মনিরুল আলম টিপু, শাকিব চৌধুরী, আশেকীন সাজু, আলী সুমন। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বামবা কার্যকরী পরিষদের সদস্য সোলস, দলছুট, নেমেসিস ও পাওয়ার সার্জের সদস্যরা।