প্রয়াণদিবসে সুবীর নন্দীকে স্মরণ

সুবীর নন্দী। ছবি: প্রথম আলো
সুবীর নন্দী। ছবি: প্রথম আলো

‘ও আমার উড়াল পঙ্খী রে/ যা যা তুই উড়াল দিয়া যা’ গানের শিল্পী সুবীর নন্দীর আজ তৃতীয় প্রয়াণদিবস। এই গানের মতোই তিনি যেন উড়াল দিয়েছিলেন ২০১৯ সালে। সন্ধ্যায় তাঁর স্মরণে মৌলভীবাজারের সর্বমঙ্গলাবাড়ি কালীমন্দিরে পূজার দেন মেয়ে ফাল্গুণী নন্দী। আর শিল্পীরা তাঁকে স্মরণ করে টেলিভিশনে গেয়েছেন তাঁদের শ্রদ্ধেয় সুবীরদার গান।
আধুনিক বাংলা গানের এক কিংবদন্তি শিল্পী সুবীর নন্দীর জীবন পরিপূর্ণ। গান গেয়ে যতটা ভালোবাসা পাওয়া যায়, তিনি সেটুকু পেয়েছিলেন। প্লেব্যাকের জন্য পাঁচবার পেয়েছিলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।

আর বাংলাদেশের সংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকও অর্জন করেন তিনি। প্রয়াণের আগে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘ঈশ্বর আমাকে যা দিয়েছেন, তা অনেক। সবার ভালোবাসা, কাজের স্বীকৃতি, জীবনে সবই পেয়েছি।’

সুবীর নন্দী। ছবি: সংগৃহীত

বরেণ্য সংগীতশিল্পী সুবীর নন্দী দীর্ঘ ৪০ বছরের ক্যারিয়ারে গেয়েছেন আড়াই হাজারের বেশি গান। বেতার থেকে টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রেও উপহার দিয়েছেন বহু গান, যেসব পেয়েছে জনপ্রিয়তা।

১৯৮১ সালে তাঁর প্রথম একক অ্যালবাম ‘সুবীর নন্দীর গান’ বাজারে আসে ডিসকো রেকর্ডিংয়ের ব্যানারে। সুবীর নন্দী প্রথম গান করেন ১৯৭৬ সালে আবদুস সামাদ পরিচালিত ‘সূর্যগ্রহণ’ চলচ্চিত্রে।

সুবীর নন্দী

সুবীর নন্দীর বহু কালজয়ী গানের অন্যতম ‘আমার এ দুটি চোখ পাথর তো নয়’, ‘কত যে তোমাকে বেসেছি ভালো’, ‘হাজার মনের কাছে প্রশ্ন রেখে’, ‘পাহাড়ের কান্না দেখে তোমরা তাকে ঝর্ণা বলো’, ‘বন্ধু হতে চেয়ে তোমার’, ‘চাঁদে কলঙ্ক আছে যেমন’ ইত্যাদি।