বেশ কিছুদিন ধরে একের পর এক স্টেজ শো বাতিল করে আসছেন জনপ্রিয় কানাডিয়ান পপ তারকা জাস্টিন বিবার। তৃতীয়বারের মত বাতিল করেছেন ‘জাস্টিস ওয়ার্ল্ড ট্যুর’। যদিও আগে দুবার বাতিল হয়েছিল কোভিডের কারণে। এত দিন শো বাতিলের আসল কারণ না জানালেও এবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানালেন সেই কারণ। সেখানে ভক্তদের জানিয়েছেন, তিনি রামসে হান্ট সিনড্রোম নামের বিরল এক অসুখে আক্রান্ত। এই অসুখের ফলে মুখের কোনো একটি অংশ বা পুরো মুখ পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়।
২৮ বছর বয়সী জাস্টিন বিবার গতকাল শুক্রবার ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। ভিডিওতে জাস্টিন বিবার দেখান মুখের ডান দিক নাড়াতেই পারছেন না তিনি। ওই অংশের কোনো পেশি কাজ করছে না। ক্যাপশনে এই তারকা লেখেন, ‘অনুগ্রহ করে সবাই ভিডিওটি দেখুন। আমার জন্য প্রার্থনা করুন। আপনাদের সবাইকে অনেক ভালোবাসি।’
তিন মিনিটের ভিডিওতে জাস্টিন বিবার বলেন, ‘আমার শো বাতিল হওয়ায় আপনারা অনেকে হয়তো খুব বিরক্ত হয়েছেন। কিন্তু আমার শরীর আমাকে বলছে, কিছুদিনের বিরতি নেওয়া উচিত। শরীর আর সায় দিচ্ছে না। ভাইরাসের আক্রমণে আমি রামসে হান্ট সিনড্রোমে আক্রান্ত। আমার মুখ এবং কানের পেশি কাজ করছে না। আমি হাসতেও পারছি না। নাকও নড়াচড়া করতে পারছি না। এক চোখের পাতা ফেলতে পারছি না। আমি মুখের এক পাশ দিয়ে হাসতেও পারছি না। নাকের এক পাশও অচল হয়ে গেছে।’
রকস্টার বিবার আরও বলেন, ‘বিষয়টি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। এখন মুখের ব্যায়াম করছি এবং বিশ্রাম নিচ্ছি। আমার বিশ্বাস, আমি ফিরে আসবই। যে কাজের জন্য জন্মেছি, তা করবই। আমি আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরব। ঈশ্বরের ওপর আমার আস্থা আছে।’
কী এই ‘রামসে হান্ট সিনড্রোম’? এটি স্নায়ুর অসুখ। এর ফলে মুখ এবং কানের স্নায়ুর ক্ষতি হয়। মুখের পক্ষাঘাতের পাশাপাশি শ্রবণশক্তিও চলে যেতে পারে।
মার্চে তাঁর স্ত্রী হেইলি বিবারকে তাঁর মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধার কারণে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তিনি পরে বলেছিলেন যে তিনি স্ট্রোক করেছিলেন এবং তাঁর হার্টে ব্লক ধরা পরায় অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল।
তবে ঠিক কতদিনে তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন, এই কানাডিয়ান সংগীতশিল্পী তা নিশ্চিত নন। তাঁর ভক্তরাও তাই উদ্বিগ্ন হয়ে রয়েছেন।