গল্পের শুরুটা ২০১০ সালের ২৬ ডিসেম্বর। মহড়া দিয়ে শুরু হয় বে অব বেঙ্গলের পথ চলা। ব্যান্ডের সব সদস্য আগে থেকেই সংগীতের সঙ্গে জড়িত। সবার চাওয়া ছিল একটাই, নিজের মতো করে কিছু করার। সেই চাওয়া আর সংগীতের নেশায় সব সদস্য মিলে গড়েছেন এক্সপেরিমেন্টাল রক ধারার এই ব্যান্ড। অধিকাংশ ব্যান্ডের শুরুটা হয় কভার ট্র্যাক দিয়ে, কিন্তু এখানে বে অব বেঙ্গল একটু ব্যতিক্রম। নিজেদের প্রথম শো থেকে তারা নিজস্ব গানই প্রাধান্য দিয়েছে।
শ্রোতারা বে অব বেঙ্গলের কাছ থেকে প্রথম শুনতে পান ‘জোছনা স্নান’ গানটি। প্রথম গানেই শ্রোতাদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায়। একে একে তারা তৈরি করে ‘বিদ্রোহ’ ও ‘মস্তিষ্কের অঙ্গার’। টেকনিক্যাল মেটাল ধারার এই গানগুলোর পর বে অব বেঙ্গল তাদের প্রথম স্টুডিও অ্যালবাম তৈরির কাজ শুরু করে।
২০১৫ সাল পর্যন্ত বে অব বেঙ্গল ১৭টি গানের কাজ করেছে। এর মধ্য থেকে ১০টি গান নিয়ে এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসে এসেছে বে অব বেঙ্গলের প্রথম অ্যালবাম নীরব দুর্ভিক্ষ। ব্যালাড রক, মেলোডি রক, হেভি মেটাল ও টেকনিক্যাল রক—সব মিলিয়ে নীরব দুর্ভিক্ষ অ্যালবামে নিরীক্ষা করেছে বে অব বেঙ্গল। প্রতিটি ট্র্যাক আলাদা বিষয় নিয়ে তৈরি হয়েছে। বে অব বেঙ্গলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশে এবং দেশের বাইরে বর্তমান সময়ে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনা তারা বেছে নিয়েছে গানের বিষয়বস্তু হিসেবে।
‘নীরব দুর্ভিক্ষ’ এই অ্যালবামের শিরোনাম গান। গানের নামটি পুরো অ্যালবামের বিষয়বস্তু তুলে ধরেছে। অ্যালবামের মোড়কে শিল্পী রাসেল কান্তির আঁকা ছবি ব্যবহার করা হয়েছে।
বে অব বেঙ্গল ব্যান্ডের সঙ্গে জড়িত আছেন বখতিয়ার (গিটার, কণ্ঠ ও বাঁশি), আবিদ (বেজ), জামিল (কি-বোর্ড) আর তানিম (গিটার)।