নিজের ঘরটাকেই অচেনা লাগছে ফাহমিদা নবীর

ফাহমিদা নবী। ছবি: সংগৃহীত
ফাহমিদা নবী। ছবি: সংগৃহীত

‘শুভ সকাল। টানা সাড়ে চার মাস লন্ডনে আটকে থাকার পর অবশেষে প্রিয় মাতৃভূমিতে পৌঁছে গেলাম! নিজেকে প্রচণ্ড হালকা লাগছে।’ আজ ১৮ জুলাই সকালে ঢাকায় নেমে নিজের ফেসবুকে কথাগুলো বললেন সংগীতশিল্পী ফাহমিদা নবী। আর বাসায় ফিরে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকছেন এই সংগীতশিল্পী।

করোনার আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি একমাত্র মেয়ে আনমোলকে নিয়ে লন্ডন গিয়েছিলেন ফাহমিদা নবী। করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় আর ফিরতে পারেননি। অবশেষে ফিরলেন। আর তত দিনে সময় চলে গেছে সাড়ে চার মাস। এত লম্বা সময় দেশের বাইরে থাকা হয়নি এই সংগীতশিল্পীর। আর দেশে ফিরেই নিজের ঘরটাকে কেমন যেন তাঁর অচেনা লাগছিল। প্রথম আলোর সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে তাই জানালেন এই সংগীতশিল্পী।

এর আগে অনেকবার লন্ডন গিয়েছেন ফাহমিদা নবী। প্রবাসী বাঙালিদের আয়োজনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেছেন সেখানে। কিন্তু এবারের যাওয়ার বিষয়টা ছিল একদমই ভিন্ন। শুধুই বেড়ানো। বোন আছেন সেখানে। আর মেয়েকে যুক্তরাজ্যের সুন্দর সব জায়গা ঘুরে দেখাবেন, এমনটাই ছিল পরিকল্পনা। কিন্তু করোনার কারণে ঘরবন্দী সময় কাটাতে হয়েছে তাঁকে।

ঢাকা ফেরার পথে ফাহমিদা নবী। ছবি: সংগৃহীত

ফাহমিদা নবী বলেন, ‘জীবনের এক অন্য রকম সময় কেটেছে। ঘরবন্দী এই জীবনের অভিজ্ঞতা বলে বোঝাতে পারব না। ভাবলাম ঘুরব, গিয়ে পড়লাম লকডাউনে। এই কয়েক মাস একদম ঘরবন্দী। তা–ও যা এক-দুবার বের হয়েছি, তা–ও একদমই প্রয়োজনীয় কাজে। দেশে ফেরার জন্য খুব মন কেঁদে ছিল, কিন্তু ফ্লাইট বন্ধ, কোনো উপায় ছিল না। অবশেষে ফ্লাইট পেলাম। আর বিদেশে থাকতে মন মানছিল না। ফিরে এলাম প্রিয় মাতৃভূমিতে। দেশের মাটিতে বিমান নামার সঙ্গে সঙ্গে যেন কলিজাটা ঠান্ডা হয়ে গেল।’

ফাহমিদা নবী আরও বলেন, ‘আমার বাসায় এমনিতে আমি একা। কারও সঙ্গে কোনো দেখা হবে না। ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন শেষ করে তারপর প্রিয়জনদের সঙ্গে দেখা হবে। তার আগে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও কলই ভরসা। সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হচ্ছে, আমি আমার ঘরটাই চিনতে পারছি না। কেমন যেন সবই অচেনা লাগছে।’