১৯৭১। স্বাধীনতার জন্য পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মানুষের জন্য নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে ‘দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ নামে একটি চ্যারিটি কনসার্টের আয়োজন করেন রবিশঙ্কর ও জর্জ হ্যারিসন। আজ ৫০ বছর পূর্ণ করল সেই কনসার্ট। সেই আয়োজন এর টুকরো গল্প।
পল্লিগীতির সুরে ‘বাংলা ধুন’
‘বাংলা ধুন’ দিয়ে শুরু হয়েছিল সেদিনের আয়োজন। পণ্ডিত রবিশঙ্কর বিশেষভাবে এটি তৈরি করেছিলেন। কনসার্টের শুরুতে পণ্ডিত রবিশঙ্কর বলেন, ‘প্রথম ভাগে ভারতীয় সংগীত থাকবে। এর জন্য কিছু মনোনিবেশ দরকার। পরে আপনারা প্রিয় শিল্পীদের গান শুনবেন।
আমাদের বাদনে শুধু সুর নয়, বাণী আছে। আমরা শিল্পী, রাজনীতিক নই। বাংলাদেশে অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা ঘটছে। বাংলাদেশের পল্লিগীতির সুরের ভিত্তিতে আমরা বাজাব “বাংলা ধুন।”’
মাদকের সঙ্গে লড়ছিলেন এরিক ক্ল্যাপটন
এরিক ক্ল্যাপটন তখন মাদকের সঙ্গে লড়ছেন। হিরোইনে আসক্ত এই শিল্পী মহড়ায় অংশ নিতে পারেননি। তবু হাজির হয়েছিলেন মানবিক ডাকে। মাদকের সঙ্গে দুই বছরের লড়াইয়ের আগে সেটাই ছিল তাঁর শেষ কনসার্টে অংশগ্রহণ।
রাজস্ব জটিলতা
কনসার্ট থেকে সংগৃহীত তহবিলের একটা বিশাল অংশ রাজস্ব জটিলতায় আটকে যায়। ইউনিসেফের কাছে এটি হস্তান্তর করতে প্রায় ১০ বছর লেগে যায়। তবে এ কনসার্টের অ্যালবামসহ অন্যান্য উৎস থেকে গৃহীত অর্থ আজও ইউনিসেফের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে।
দুর্ঘটনার পরে মঞ্চে প্রথমবার বব ডিলান
১৯৬৬ সালে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার পরে এ আয়োজনের মাধ্যমে প্রথমবার কনসার্টে অংশগ্রহণ করেন বিখ্যাত শিল্পী বব ডিলান। মঞ্চে তাই একটু নার্ভাসও ছিলেন এই শিল্পী।
একমাত্র নারী কমলা চক্রবর্তী
দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশের একমাত্র নারী সদস্য ছিলেন কমলা চক্রবর্তী। তিনি প্রাচ্য সংগীতজ্ঞ দলের সদস্য হয়ে অংশগ্রহণ করেন। মঞ্চে তানপুরা বাজিয়েছিলেন কমলা।