বাপ্পা মজুমদার, সন্দীপনসহ আরও অনেক শিল্পীর জন্য গান লিখেছেন এফ এইচ সরকার স্বপ্নীল, করেছেন সুর। গতকাল শনিবার রাত ১১টায় জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউটে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন গীতিকবি ও সুরকার স্বপ্নীল। তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর। প্রথম আলোকে আজ মামার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন স্বপ্নীলের ভাগ্নে সাব্বির আহমেদ।
গত এক মাস যাত্রাবাড়ীতে বোনের বাসায় ছিলেন স্বপ্নীল। সন্ধ্যায় হঠাৎ অসুস্থ বোধ করলে দ্রুত তাঁকে ইসলামিয়া হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর হলি ফ্যামিলি ও জাতীয় হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ঘুরে তাঁকে নেওয়া হয় মোহাম্মদপুর কলেজগেটসংলগ্ন জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউটে। সেখানকার চিকিৎসকেরা তাঁকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা দেন। রাত ১১টার দিকে স্বপ্নীলের মৃত্যু হয়। হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, তাঁর ‘ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক’ হয়েছিল।
আজ আসরের নামাজের পর ঢাকার আজিমপুর কবরস্থানে স্বপ্নীলকে সমাহিত করা হবে। এর আগে যাত্রাবাড়ীতে তাঁর বোনের বাসার সামনের মসজিদে তাঁর জানাজা সম্পন্ন হবে। বাপ্পা মজুমদার, সন্দীপন, হৈমন্তী রক্ষিত মান, নদীসহ অনেকের জন্য গান লিখেছেন স্বপ্নীল। কারও কারও গানে দিয়েছেন সুরও। তিনি নিজেও গান গাইতেন। তবে তিনি আলোচনায় আসেন ২০০৬ সালে প্রকাশিত সন্দীপন দাসের একক অ্যালবাম ‘আয় প্রাণের উৎসবে’র গানগুলোর কারণে। এই অ্যালবামের গানগুলোর সংগীতায়োজন করেছেন বাপ্পা মজুমদার।
স্বপ্নীলের মৃত্যুতে শোকাহত সন্দীপন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘স্বপ্নীলের সঙ্গে আমার বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। তাঁর বেড়ে ওঠা চট্টগ্রামের কাপ্তাইয়ে। সেখানে আমরা ওস্তাদ মেহের কান্তি লালের কাছে গান শিখতাম। ঢাকায় এসেও দুজন একসঙ্গে কাজ করেছি। আমাদের অনেক অনেক স্মৃতি। খুব খারাপ লাগছে তাঁর মৃত্যুর কথা শুনে।’
বাপ্পা মজুমদার লিখেছেন, ‘স্বপ্নীলদা আমাদের সঙ্গে আর নেই। আমি এসব আর সহ্য করতে পারছি না।’ স্বপ্নীলের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন সামিনা চৌধুরী, সুবর্ণা মুস্তাফা, রিপন খান, পান্থ কানাই, হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল, ফুয়াদ আল মুক্তাদির, আলিফ আলাউদ্দিন, জয় শাহরিয়ার, কোনাল, কিশোর, এলিটা করিম, খৈয়াম সানু সন্ধি, মুহিন খান, সাব্বির জামান, লোপা হোসাইন, চয়নিকা চৌধুরী প্রমুখ।
স্বপ্নীলের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায়। তিনি বেড়ে উঠেছেন চট্টগ্রামে। সেখান থেকে গানের টানেই ১৯৮৮-৮৯ সালের দিকে তিনি ঢাকায় আসেন। স্বপ্নীলের লেখা কথায় প্রশংসিত হয় বাপ্পা মজুমদার ও নদীর গাওয়া ‘জলছায়া’ গানটি।