তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ের করা একটি মামলায় সংগীত পরিচালক ও গায়ক শওকত আলী ইমনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার মহানগর হাকিম আমিনুল হক এ আদেশ দেন।
ইমনের সাবেক একজন স্ত্রী ১৮ আগস্ট তথ্যপ্রযুক্তি আইনে (আইসিটি অ্যাক্ট) রমনা থানায় ইমনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। এই মামলায় গতকাল রাতে রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেনের ইমনের বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলায় এজাহারে ইমনের সাবেক ওই স্ত্রী অভিযোগ করেন, ২০১২ সালের ৬ ডিসেম্বর তাঁদের বিয়ে হয়। কিন্তু এক বছর ধরে ইমন কৌশলে তাঁর আপত্তিকর ছবি তোলেন। ছবিগুলো ইমনের ব্যক্তিগত ল্যাপটপ ও মোবাইলে রয়েছে। পরে তাঁর কাছে পাঁচ কোটি টাকা দাবি করেন ইমন। কিন্তু তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করায় সেসব ছবি ফেক আইডির মাধ্যমে ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন ইমন।
এজাহারে আরও বলা হয়, ২০১৩ সালের ৯ মে তৌফিকুল আলম চৌধুরী ও দেবাশীষ বিশ্বাসকে ই-মেইল ও ফেসবুকে কয়েকটি ছবি পাঠান ইমন। সর্বশেষ ১৮ আগস্ট সন্ধ্যায় টাকা না দিলে বাদীর আত্মীয়স্বজনের কাছে এসব ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন ইমন। এসব হুমকিতে বাদী সামাজিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে ইমনের এই সাবেক স্ত্রীকে ফোন দেওয়া হলে তাঁর মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে ইমনের বোন আবিদা সুলতানা বলেন, এসব তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। ইমন এখন চলচ্চিত্রের কাজ নিয়ে অনেক ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছিলেন বলে জানান তিনি।
দেবাশীষ বিশ্বাস বলেন, কয়েক মাস আগে ইমন ওই নারীর আপত্তিকর কয়েকটি ছবি তাঁর (দেবাশীষ) ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও ই-মেইলে পাঠান। এ নিয়ে ইমনের সঙ্গে তাঁর কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তিনি ইমনকে ফেসবুকে ব্লক করে দেন। আর ছবিগুলো ফেলে দেন।